চলতি মাসের মাঝামাঝি আই লিগ ও আইএসএলের ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতীয় ফুটবলের ‘রোডম্যাপ’ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এএফসি-র সভায়, তার উপরেই সিলমোহর পড়ল শনিবার।
ভিয়েতনামের শহর দা নং-এ শুক্রবার ভারতীয় ফুটবলের ‘রোডম্যাপ’ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন এএফসির কর্মসমিতির সদস্যরা। সেখানেই ঠিক হয়, ১৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় এএফসির সঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, আইএমজি-আর, আই লিগ ও আইএসএলের ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেটাই ভারতীয় ফুটবলের এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা। ফলে আইএসএলকেই দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল প্রতিযোগিতা বলে এ দিন সরকারি ভাবে স্বীকৃতি দিল এএফসি। যা চলতি মরসুম (২০১৯-২০) থেকেই স্বীকৃতি পাচ্ছে।
এ ছাড়াও সভায় সিলমোহর পড়ে ১৪ অক্টোবরের সেই বৈঠকে নেওয়া আরও কিছু সিদ্ধান্তের উপর। তার মধ্যে রয়েছে, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফে। অন্য দিকে, আই লিগ জয়ী ক্লাব খেলার সুযোগ পাবে এএফসি কাপের প্লে-অফে। এ ছাড়াও, ক্লাব লাইসেন্সিং ও অন্যান্য শর্ত পূরণ করলে ২০২০-২১ মরসুমের শেষে আই লিগের দু’টি ক্লাবকে সরাসরি আইএসএলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে এএফসি-র তরফে। যা থেকে স্পষ্ট এ ক্ষেত্রে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের কথাই বলা হয়েছে। যদিও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সূত্রে খবর, আগামী মরসুম থেকেই যাতে কলকাতার দুই প্রধানকে আইএসএলে পাওয়া যায়, তার জন্য জোরদার প্রচেষ্টা চলছে। আইএসএলে কলকাতার দুই প্রধানের যোগদানের বিষয়টি এগিয়ে আনতে উদ্যোগী দেশের ফুটবল প্রশাসকেরা। এ ছাড়াও এএফসি জানিয়ে দিয়েছে, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ মরসুমের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাব কোনও প্রবেশ মূল্য না দিয়েই আইএসএলে অংশ নিতে পারবে। তবে পাশাপাশি এটাও দেখা হবে এই দুই চ্যাম্পিয়ন ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের শর্ত পূরণ করতে পারছে কি না। সঙ্গে এটাও এএফসি মেনে নিয়েছে, ২০২৩-২৪ মরসুম পর্যন্ত আইএসএলে কোনও অবনমন থাকছে না। ২০২৪-২৫ মরসুমে আইএসএল ও আই লিগ মিশে একটাই লিগ হবে। তখন অবনমনের নিয়মও চালু হবে আইএসএলে।