১) পস্টিগাকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁচার ম্যাচে নামানো উচিত কি না?
২) তিন গোল শোধের সেরা অ্যাটাকিং কম্বিনেশন কী হবে?
৩) মেন্ডি-মেলসনের দেওয়াল ভাঙা হবে কী ভাবে?
৪) এটিকে কি তিন গোল শোধ দিতে পারবে?
গৌতম সরকার
১) পস্টিগা বড় ফুটবলার। কিন্তু বহু দিন ম্যাচের মধ্যে নেই। তাই আমার মতে যারা খেলছে তাদেরই খেলানো উচিত। ভুললে চলবে না, এত দূর ওরাই নিয়ে এসেছে।
২) ৪-৩-৩ ফর্মেশনে যাও। পুণেতে হিউম বলই পাচ্ছিল না। আরাতা-দ্যুতি অনেক নীচে খেলছিল। এ বার শুরু থেকেই তিন জনকে চেন্নাই বক্সে তুলে দাও।
৩) বিপক্ষ বক্সে দ্রুত নড়াচড়া করতে হবে। মেন্ডি-মেলসন দু’জনেই ফাইনাল ট্যাকল করছে না। তাই কুড়ি গজের মধ্যে বল পেলেই গোলে শট মারো।
৪) গত বারের সেমিফাইনালে চেন্নাইও অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন গোল খেয়ে ঘরের মাঠে তিন গোল দিয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে কেরল জিতে যায়। তাই তিন গোল কোনও ফ্যাক্টর নয়। চার গোলও হতে পারে।
অলোক মুখোপাধ্যায়
১) কলকাতার হারানোর কিছু নেই। আমার মতে টিমের সেরা অস্ত্রটাকে শেষ বারের জন্য একবার ব্যবহার করা যেতেই পারে। প্রথম ম্যাচের মতো হিউম-পস্টিগা জুটি দুর্দান্ত কিছু করে ফেলতেই পারে!
২) ৪-৩-৩। শুরুতেই পস্টিগা-হিউম-দ্যূতিকে নিয়ে ঝাঁপাতে হবে।
৩) মেন্ডির ফুটওয়ার্ক অসাধারণ। একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে ওকে হারানো কঠিন। মেন্ডিকে টপকাতে হবে ওয়াল খেলে।
৪) তিন গোল না হলে একটা সম্ভাবনা থাকত। এখান থেকে একমাত্র অবিশ্বাস্য কিছুই কলকাতাকে বাঁচাতে পারে!
শ্যাম থাপা
১) পস্টিগাকে নামানোর দরকার নেই। তাতে টিমের ছন্দ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যারা টিমকে এত দূর তুলে নিয়ে এসেছে, তাদের উপরই ভরসা রাখো। তেমন হলে দ্বিতীয়ার্ধে আসুক পস্টিগা।
২) ৪-৩-২-১। আগের ম্যাচের ফর্মেশনই থাক। হিউম একা স্ট্রাইকার। শুধু খেয়াল রাখতে হবে হিউমকে যাতে বল পেতে নীচে না নামতে হয়।
৩) মাঝমাঠ থেকে চাপ তৈরি করতে হবে। অ্যাটাকিং থার্ডে লোক বাড়িয়ে। এই কাজে গ্যাভিলান আর বোরহাকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।
৪) কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। হোম অ্যাডভান্টেজ বলে ফাইনাল যাওয়ার ব্যাপারে কলকাতার উপরই বাজি ধরব।