ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে অচিন্ত্য নিজস্ব চিত্র
শুধুই পরিশ্রম, অধ্যবসায়। না কি তার সঙ্গে আরও কিছু! ঠিক কী মন্ত্রে বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছেন অচিন্ত্য শিউলি! স্বাধীনতা দিবস পালন করতে গিয়ে তার নেপথ্যকাহিনি শোনালেন বাংলার ভারোত্তোলক।
স্বাধীনতা দিবসে অচিন্ত্যকে সম্বর্ধনা জানিয়েছে ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাব। সেখানে এসে অচিন্ত্য বললেন, ‘‘সাফল্যের জন্য পরিশ্রমের পাশাপাশি প্রয়োজন ধৈর্য। শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, তার সঙ্গে ধৈর্য না থাকলে সাফল্য পাওয়া কঠিন।’’ কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষদের ৭৩ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছেন অচিন্ত্য। প্রথম বার খেলতে নেমেই কীর্তি। প্রতিযোগিতা শুরুর এক মাস আগে থেকে ব্রিটেনে ছিলেন হাওড়ার পাঁচলার ছেলে। আগে থেকে সে দেশে থাকায় তিনি কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অচিন্ত্য।
সম্বর্ধনা জানানো হল অচিন্ত্যকে নিজস্ব চিত্র
সোমবার ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে অচিন্ত্যর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর দাদা অলোক শিউলি। তিনি অচিন্ত্যর অন্যতম কোচ। কমনওয়েলথে তাঁর সাফল্যের পিছনে দাদার অবদান সব থেকে বেশি বলে মনে করেন অচিন্ত্য। তিনি বললেন, ‘‘আমার সোনা দাদার জন্য। ও না থাকলে এই জায়গায় যেতে পারতাম না।’’
সাফল্যের জন্য দাদা অলোককে (একেবারে বাঁ দিকে) ধন্যবাদ জানিয়েছেন অচিন্ত্য। নিজস্ব চিত্র
ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে এসে পতাকা উত্তোলন করেন অচিন্ত্য। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়। অচিন্ত্যর হাতে ৫১ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ক্লাবের সচিব চন্দন রায়চৌধুরী। কমনওয়েলথে সোনার পরে আগামী লক্ষ্য কী? যাওয়ার সময় সোনার ছেলে বলে যান, ‘‘এ বার লক্ষ্য অলিম্পিক্স। সেখান থেকেও দেশের জন্য পদক আনতে চাই।