গত ষাট দিন ধরে যে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছিলাম, মঙ্গলবার তা থেকে কিছুটা রেহাই পেলাম। বিকেলেই এক বন্ধু জানাল, ব্যাপারটা এ বার দেখবে ফেডারেশন। আইএফএ নয়।
চাপ কাটাতে গত দশ দিন কলকাতার বাইরে ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসেও মনঃসংযোগ করতে পারছিলাম না। মুম্বই সিটি এফসি-র সতীর্থরা আইএসএল-এ নতুন মরসুম নিয়ে নানা পরিকল্পনা, চিন্তাভাবনা করছে। তখন আমি চিন্তাগ্রস্ত মনে বজবজ ফুটবল অ্যাকাডেমির মাঠে নিজেকে ফিট রাখতে একা একা অনুশীলন চালাচ্ছি। এই একা লড়াই করার যন্ত্রণা বলে বোঝানো যাবে না। জানি না, কবে এই বিতর্ক থেকে পুরোপুরি মুক্ত হব। কিন্তু আজ থেকে কিছুটা স্বস্তি তো মিলল। আমি এখনও জোর গলায় বলব কোনও অন্যায় করিনি।
ভারতীয় ফুটবলে আমি কোন বড়সড় নাম নই। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা খুবই সাধারণ এক ফুটবলার। সুতরাং ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই আমার।
আরও পড়ুন: ‘ভারতের হয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলাই আমার মূল লক্ষ্য’
২০১৫-তে দু’বছরের জন্য চুক্তি হয়েছিল আমার। সেই চুক্তির দু’দিনের মধ্যেই সই করা সেই কাগজটা আমি ক্লাবের থেকে চেয়ে নিয়েছিলাম গাড়ি কিনব বলে। এ বার তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরে ক্লাবকে বলেওছিলাম ছুটি কাটিয়ে এসে জানাব আসন্ন মরসুমে কোথায় খেলব। এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলার জন্য আমার সই করা চুক্তিপত্র আমি বার ছ’য়েক দেখতে চেয়েছি। একবারও দেখানো হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত আমার এজেন্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।