চর্চায়: মেসিকে বিক্রি করার কথাও ভাবছেন বার্সা কর্তারা। ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার সাম্প্রতিকতম চুক্তি ফাঁস হয়ে গেল স্পেনের এক দৈনিকে। জানা যাচ্ছে, চার মরসুমের জন্য তাঁকে দেওয়ার কথা প্রায় ৪৮৬৭ কোটি টাকা (৫৫০ মিলিয়ন ইউরো)। এই চুক্তি হয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই দৈনিকের দাবি, বিশ্বের কোনও খেলোয়াড় এত বেশি উপার্জন করেন না! তবে বার্সেলোনার তরফে জানানো হয়েছে এই দৈনিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে যা আয় করেন তার অর্ধেক আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তিকে কর হিসেবে স্পেনের সরকারকে দিয়ে দিতে হয়। স্পেনের দৈনিকের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, চুক্তির মোট অর্থমূল্যের প্রায় পুরোটাই মেসি ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন। বার্সার এই মুহূর্তের ঋণের ভার কতটা তীব্র জানতে গিয়েই এই চুক্তির ব্যাপারটা প্রকাশ্যে চলে আসে। জোসেপ মারিয়া বার্তোমিয়ো প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করার পর বার্সা চালাচ্ছে একটি তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড। এই বোর্ডের অনেক সদস্য নাকি মনে করেন, ক্যাম্প নু-র ক্লাব ঋণমুক্ত হতে পারে একমাত্র মেসিকে বিক্রি করে দিলে। এ’ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ৭ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে।
মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তি শেষ হবে জুনে। এই মরসুমের শুরুতেই তিনি ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। চুক্তি শেষ হওয়ার পরে বার্সা অধিনায়ক চলে গেলে বিশেষ কিছু আর্থিক লাভ ক্লাবের হবে না। তাই তার আগেই তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার ভাবনাটা আলোচনায় উঠে আসছে। অবশ্য বার্সা বোর্ডের অনেকেই আবার যে কোনও ভাবে মেসিকে ধরে রাখার পক্ষপাতী। কারণ তাঁর জন্যই ক্লাবের বিজ্ঞাপন, স্পনসরশিপ ইত্যাদি নানা সূত্র থেকে যাবতীয় আয় হয়। শুধু তাই নয়, খেলোয়াড় জীবনে তিনি ক্লাবকে তিরিশের বেশি ট্রফি দিয়েছেন। প্রায় দু’দশক মেসি বার্সেলোনায় খেলছেন। তবে জুনের পরে তিনি কী করেন সেটাই এখন দেখার। শোনা যাচ্ছে মেসিকে কেনার ক্ষমতা আছে একমাত্র ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও প্যারিস সাঁ জারমাঁর। সম্প্রতি এমনও শোনা যায়, নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রের ক্লাব পিএসজি নাকি দৌড়ে এগিয়ে আছে। ফ্রান্সের এক সাংবাদিক এও লিখেছিলেন, প্যারিসে থাকতে হবে বলেই মেসি সপরিবার এখন ফরাসি শিখছেন। বার্সা অধিনায়কের ঘনিষ্ঠরা অবশ্য এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন।