কাজ করলে ভুল তো হয়ই। পাঠ্য বইতেও কম বেশি ভুল কখনও কখনও থেকে যায়। ভুল ধরা পড়ে খবরের কাগজেও। কিন্তু কখনও কখনও সেই ভুল অমার্জনীয় হয়ে ওঠে। যেমন আজকের এক ইংরেজি দৈনিকে রঞ্জি ট্রফির রিপোর্টে যে ভুলের ছড়াছড়ি, তাকে ক্ষমা করতে নারাজ অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই। রঞ্জি ট্রফিকে ‘রান্ডি ট্রফি’ দেখে খ্যাতনামা হিন্দি ধারাভাষ্যকার এবং ক্রীড়া সাংবাদিক আওয়াজ মেমন তো টুইট করে পশ্চাদ্দেশে কিক্ মারারও ইচ্ছে প্রকাশ করে ফেলেছেন, প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে।
সম্ভবত রিপোর্টটি অটোকারেক্ট মোডে লেখা হয়েছে। সাংবাদিক সেদিকে না তাকিয়ে করে গেছেন একের পর এক ভুল। ইউসুফ পাঠান হয়েছেন সুফিউস নাথান, পিনাল শাহ্ হয়েছেন ফাইনাল শাহ্। শুধু তাই না আদিত্য ওয়াগমোডে হয়েছেন অ্যাসিডিটি ডেমোড আর তুশার দেশপান্ডে হয়েছেন তুস স্প্যানডেক্স। মেমনের এই পোস্টে টুইটারে শুধু কমেন্টের ঝড়ই ওঠে নি, তার সাথে বজ্র বিদ্যুৎ সহযোগে বৃষ্টিপাতও হয়েছে। সাংবাদিকের কাজ তো একটা রিপোর্ট তৈরী করা। তারপর সেই রিপোর্ট সংশোধন করেন যারা তারা কোথায় ছিলেন? মেমন প্রশ্নচিহ্ণ তুলেছেন সেই এডিটরের দিকেই। নামগুলো একটু খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় অটোকারেক্ট মোডের হজম আর বদহজমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে রিপোর্টটি। তবে রনজি ট্রফির নাম বিকৃত হয়ে সাউথ সুপারস্টার রজনী বা বলিউডের ভিলেন রঞ্জিত হলেও খুব একটা অসুবিধা হত না। মুশকিল হয়ে গেল একেবারে রান্ডি ট্রফি যা বারবার রঞ্জি ট্রফির খেলার আগে ক্রিকেট প্রেমীদের মনে করাবে।
আরও পড়ুন: ডব্লুডব্লুই-তে নামছেন সুশীল কুমার?