হয় দু’টি বিদেশি দল এনে দু’বছর আইপিএল চালিয়ে দেওয়া। নয় দুই নির্বাসিত ফ্র্যাঞ্চাইজির বদলে নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় চেন্নাই সুপার কিঙ্গস ও রাজস্থান রয়্যালসকে রেখে দেওয়া। আগামী দু’বছরের আইপিএলের জন্য নাকি এই দুই রাস্তাই বেশি পছন্দ আইপিএল ওয়ার্কিং গ্রুপের।
তবে শেষ পর্যন্ত কোন রাস্তায় যাওয়ার সুপারিশ করবেন তারা, তা চূড়ান্ত হয়নি। যদিও বিদেশি দলকে আনার পক্ষে অনেকেরই সায় নেই। চলতি মাসের ২৯ তারিখ গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে সম্ভবত সিদ্ধান্ত হবে, শেষ পর্যন্ত কোন রাস্তা বাছা হবে। শনিবার মুম্বইয়ে আইপিএল ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর সে রকমই জানা গেল।
এ দিনের বৈঠকে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ ওয়ার্কিং গ্রুপের অন্য সদস্যরা। এই দুই রাস্তা নিয়েই তাঁদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়। পঞ্জাবের কর্ণধার নেস ওয়াদিয়া ও প্রীতি জিন্টা বিদেশি দল এনে দু’বছর আইপিএল চালানোর পক্ষে রায় দেননি বলে জানিয়েছেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এ দিন ওয়াদিয়া বলেন, ‘‘বিদেশি দল খেললে আইপিএলের জনপ্রিয়তায় ঘাটতি পড়বে। তাই আমরা যে এই প্রস্তাবের পক্ষে নেই, তা জানিয়ে দিয়েছি।’’ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধি নিখিল মেসওয়ানিও একই মত দিয়েছেন বলে শোনা গেল। এ দিন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াও দুই টিভি সম্প্রচার সংস্থা ও স্পনসরদের সঙ্গেও কথা বলেন গ্রুপ সদস্যরা।
বিচারপতি লোঢা কমিশন চেন্নাই সুপার কিংগস ও রাজস্থান রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দু’বছরের জন্য ব্যান করার সুপারিশ করেছে। তবে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় দুই দলকে রাখা যায় কি না, তা নিয়েই বেশি ভাবছেন কর্তারা। বৈঠকের পর আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল-র বক্তব্যও তেমনই ইঙ্গিত দিল। তিনি বলেন, ‘‘দুই দলকে বাদ দেওয়া নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি আজ। কারণ, তা করতে গেলে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। তা ছাড়া লোঢা কমিশন তো তেমন সুপারিশ করেওনি। সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেই কথা হয়েছে। সবাই আটদলীয় আইপিএলের পক্ষে। ২৯ অগস্ট বৈঠকের আগেই আমরা রিপোর্ট তৈরি করে ফেলব, আশা করছি।’’ বোর্ডে যে দুই আইপিএল দলকে দু’বছরের জন্য চালানোর ভাবনা ছিল, সেই ভাবনা আপাতত ফিকে হয়ে এসেছে বলে শোনা গেল।
মুম্বইয়ে যে পাঁচতারা হোটেলে এই বৈঠক হয়, তার বাইরে এ দিন একদল সিএসকে সমর্থক বিক্ষোভ দেখায় তাদের প্রিয় দলকে আইপিএলে খেলতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে।