অলঙ্করণ: শেখর রায়।
রিও অলিম্পিক্স ২০১৬ ইজ ইক্যুয়াল টু ভিকট্রি লাইনে ভারতীয় মেয়েরা। এটা একটা দুর্দান্ত জিনিস হল, বলুন। দীপা, সিন্ধু, সাক্ষীর হাত ধরে ইতিহাসে ঢুকে পড়লাম আমরা।
ভারতে মেয়েদের খেলা মানেই তো ইন্ডোর গেমস। ছোট থেকেই মেয়েদের সেটাই প্র্যাকটিশ করানো হয়। এ বার বোধহয় সেই বস্তাপচা ধারণাটা একটু একটু করে বদলাবে। সাক্ষী হরিয়ানার যেখান থেকে উঠে এসেছে ভাবতে গেলে মনে হয় যেন সিনেমা।
মেয়েরা কোনওদিনই কম ছিল না। কিন্তু এই মেডেলগুলো সেটাই আরও একবার প্রমাণের সুযোগ করে দেয়। মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখুন। মেয়েদের পাশের হার বেশি, মেয়েদের রেজাল্ট ভাল। শুধু পড়াশোনা কেন, সব ব্যাপারে মেয়েরা আজ এগিয়ে। ছেলেদেরকে ছোট করছি না। কিন্তু ডিসক্রিমিনেশনটা আমাদের সমাজে দীর্ঘদিনের। এটা সমাজের সব স্তরে রয়েছে। এটা বোধহয় এডুকেশনের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা একটা মাইন্ড সেটের ব্যাপার। পরপর দু’টো তিনটে মেয়ে হলে এখনও লজ্জার ব্যাপার। সমাজের উঁচু স্তরেও সেটা রয়েছে। মেয়েদের জয়টা এই মাইন্ড সেটটা কোথাও হয়তো চেঞ্জ করতে পারবে। নিঃসন্দেহে ভারতের পুরুষ প্রতিযোগীরাও আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ হাসি হাসল মেয়েরা। এটা একটা এনকারেজমেন্ট। এটা প্রমাণ করে দিল ঠিকমতো খাওয়া–দাওয়া, এনকারেজমেন্ট পেলে মেয়েরাও করে দেখাতে পারে। এমন কত দীপা, সাক্ষী হয়তো ভ্রুণেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
যেহেতু এখনও আমাদের পুরুষশাসিক সমাজ সেহেতু পুরুষদের সাপোর্টাও দরকার। তবে তার থেকে অনেক বেশি সাপোর্ট দরকার বাড়ির কাকি বা মাসির। আমি তো বলব, মাছের বড় পিসটা এ বার ছেলের পাশাপাশি মেয়েকেও দিতে শিখুন। মেয়েদের ডেডিকেশন আর সিনসিয়ারিটি ছেলেদের থেকে অনেক বেশি থাকে। ছেলেদেররকে ছোট না করেই কথাটা বললাম। তবে সাপোর্ট সিস্টেমটা মেয়েরা সত্যিই এ বার ডিজার্ভ করে।