তিনি ইরানের বলি বিল্ডার শিরিন নাবাহারি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বেশি পরিচিত ‘শিরিন-মাসল কিং’ নামেই।
ইন্সটাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৭০,০০০ জন।
নিজের সুগঠিত শরীরের নানা রকম ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে ভালবাসেন শিরিন। <br> কিন্তু শিরিনের সেই সমস্ত ‘নগ্ন’ ছবি বিলকুল না পসন্দ রক্ষণশীল সমাজের।
নাহ! সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও নগ্ন ছবি দেননি শিরিন। কিন্তু স্থানীয় গোঁড়া রক্ষণশীল <br> সমাজের বক্তব্য, বোরখা ও ওড়না না পরা আসলে নগ্নতারই সামিল।
ছবিতে শিরিনের হাত-পা সহ বেশ কিছু অংশই অনাবৃত রয়েছে। তাঁর ‘অ-ইসলামিক’ এই সমস্ত পোশাক পরার বিষয়টি <br> ভালভাবে গ্রহণ করেনি ইরানের গোঁড়া সমাজ। আর তাই জেলে যেতে হল শিরিন নাবাহারিকে।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগও পেয়েছিলেন শিরিন। কিন্তু জামিনের জন্য <br> ৬২,০০০ ডলার জোগাড় করতে না পারায় আপাতত সেই স্বপ্নে পূর্ণচ্ছেদ।
নারী স্বাধীনতায় এখনও বেশ পিছিয়ে ইরান। সাঁতার থেকে দৌড়, যে কোনও ধরনের স্পোর্টস-এই <br> মেয়ে খেলোয়াড়দের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা বিশেষ পোশাক পরতে হয়। <br> একমাত্র মুখ ছাড়া শরীরের আর কোনও অংশ অনাবৃত রাখার অনুমতি নেই এখানে।
শুধু তাই নয়, টিভিতে বা সামনাসামনি মহিলারা পুরুষদের কোনও খেলাও দেখতে পান না। যদি সেটি দেশের খেলা হয় সেক্ষেত্রেও <br> একই নিয়ম প্রযোজ্য। মেয়েরা এই নির্দেশ অমান্য করলে তাঁদের জেল পর্যন্ত হতে পারে।