(ছবি সৌজন্য: পৌলমী মল্লিক কুণ্ড)
পুজো বাঙালির উদ্যাপনের বিশেষ অঙ্গ হলেও, একমাত্র নয়। আর জমিয়ে খাওয়ার জন্য বাঙালির কোনও দিনই বিশেষ কোনও পার্বণের দরকার পড়েনি। তাই যদি পুজো শেষে ফের পুরনো ডায়েটে ফিরে গিয়ে থাকেন, এক দিন স্বাদবদলের জন্য রাতে রুটির সঙ্গে বানিয়ে ফেলতেই পারেন মাংসের ভুনা।
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস— আধ কিলো (হাড় ছাড়া)
পেঁয়াজ— ৬টি (বড়)
আদা বাটা— দেড় টেবিল চামচ
রসুন বাটা— ২ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা— ৬-৮টি
সরষে— আধ চা চামচ
শা-জিরা— ১ টেবিল চামচ
কারি পাতা— ৫-৬টি
হলুদ গুঁড়ো— আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো— ১ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা— ২-৩টি
শাহী গরমমশলা গুঁড়ো— ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা— আধ আঁটি
নুন— স্বাদ মতো
চিনি— ১ চা চামচ
তেজ পাতা— ৩-৪টি
গোলমরিচ গুঁড়ো— ১ চা চামচ
টক দই— ১ কাপ
সরষের তেল— ১ কাপ
প্রণালী:
হাড় ছাড়া পাঁঠার মাংস ছোট ছোট করে টুকরো করে কেটে নিন। একটি বাটিতে টক দই ফেটিয়ে নিন। তাতে সামান্য রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো ও অল্প সরষের তেল একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। সেই মিশ্রণে মাংসের টুকরো সারারাত মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। রান্নার এক ঘণ্টা আগে ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে রাখুন। কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজের গায়ে সোনালি রং ধরলে তুলে নিন। এ বার ওই তেলেই প্রথমে তেজ পাতা, শুকনো লঙ্কা, শা-জিরে, সরষে আর কারি পাতা ফোড়ন দিন। ফোড়ন অল্প ভাজা হয়ে এলে হলুদ গুঁড়ো, আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। তার পর কড়াইয়ে ম্যারিনেট করে রাখা মাংসের টুকরো দিয়ে ভাল করে ভাজতে থাকুন। মিনিট দশেক পরে পেঁয়াজ ভাজা দিয়ে দিন। এ বার স্বাদ মতো নুন, চিনি, লঙ্কা গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, চেরা কাঁচা লঙ্কা আর সামান্য জল দিয়ে মাংস নেড়ে চাপা দিন। মাংসে সেদ্ধ হয়ে এলে শাহী গরমমশলা গুঁড়ো আর বেশ খানিকটা ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। মিনিট পাঁচেক নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি মাংসের ভুনা।