এমন কোনও বাঙালি বোধ হয় কলকাতায় খুঁজে মেলা ভার, যিনি মিত্র কাফে, নিরঞ্জন আগার বা অ্যালেন’স কিচেনের ডিমের ডেভিল খাননি। বাইরে আজকাল পড়ব না করেও করেও বৃষ্টি পড়ছে একটু-আধটু। আর সান্ধ্যকালীন চায়ের সঙ্গে যদি থাকে বাড়িতে তৈরি গরম গরম ডিমের ডেভিল, জমে যাবে। আর এই সন্ধ্যেয় ডেভিলের দোসর থাকুক চিজ কোরানো আলু সেদ্ধ আর ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা সবুজ স্যালাড।
উপকরণ:
হাঁসের ডিম— ৬টি
মাটন কিমা— ২০০ গ্রাম
পেঁয়াজ— ৩টি
আদা— এক টুকরো (দু’ইঞ্চি মাপের)
রসুন— ৪-৫ কোয়া
কাঁচা লঙ্কা— ৩টি
ধনে পাতা— আধ মুঠো
হলুদ— এক চিমটে
লঙ্কা গুঁড়ো— আধ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো— আধ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো— আধ চা চামচ
গরমমশলা গুঁড়ো— আধ চা চামচ
মুরগির ডিম— ২টো
কর্নফ্লাওয়ার— ৩ টেবিল চামচ
নুন— স্বাদ মতো
গোলমরিচ গুঁড়ো— ১ চা চামচ
সরষের তেল— ১ কাপ
বিস্কুটের গুঁড়ো— প্রয়োজন মতো
বেকিং সোডা— এক চিমটে
আলু— ৫টি
শসা— ১টি
প্রণালী:
হাঁসের ডিম সেদ্ধ করে তুলে রাখুন। গরম ছুরি দিয়ে সেদ্ধ ডিম লম্বালম্বি চিরে দু’টুকরো করে কেটে রাখুন। মাটন কিমা অল্প নুনও হলুদ দিয়ে হাল্কা সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা ও রসুন বাটা দিন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে সেদ্ধ কিমা নাড়তে থাকুন। তাতে একে একে লঙ্কা গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনে গুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো ও নুন দিন। ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে কিমা ভাল করে কষে নামিয়ে নিন। অর্ধেক করা ডিম থেকে বেরনো ৬ টুকরো কুসুম বের করে নিন। কিমার সঙ্গে কুসুম মেখে নিন। এ বার অর্ধেক ডিমের উপরে কিমার মিশ্রণ দিয়ে ডিমের আকার গ়ড়ে নিন। একটি বাটিতে ডিম, কর্নফ্লাওয়ার, বেকিং সোডা, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে একটি ব্যাটার তৈরি করুন। ডিমের ডেভিল প্রথমে ডিমের ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। তার পর বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে সরষের তেলে ডিমের ডেভিল লালচে করে ভেজে তুলুন। আলু সেদ্ধ করে ননি। সেদ্ধ আলুর সঙ্গে অল্প নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো ও কুরনো চিজ মেশান। এ বার ডিমের ডেভিল চিজ মেশানো আলু সেদ্ধ, শসা ও পেঁয়াজ কুচির সঙ্গে পরিবেশন করুন।