মা হওয়ার পরই ছিপছিপে শরীরে মেদ জমার সমস্যার ভোগেন অনেকেই। শরীরচর্চার অভাব, পোস্ট ন্যাটাল ডিপ্রেশন, স্ট্রেস, সর্বোপরি শিশুর খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের যত্ন না নেওয়ার কারণে ওজন বাড়তে থাকে। যা অবহেলা করলে পরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই সমস্যায় ভুগেছেন বলিউড অভিনেত্রীরাও। কেউ কেউ মা হওয়ার পরও ধরে রেখেছেন চেহারা। জেনে নিন কী ভাবে নিজেদের মেনটেন করেছেন শিল্পা, ঐশ্বর্যা, করিশ্মরা।
শিল্পা শেঠি- গর্ভাবস্থায় শিল্পা শেঠির ওজন বেড়েছিল ২০ কেজি। মা হওয়ার সময় তাঁর ওজন ছিল ৮০ কেজি। ডেলিভারির এক বছরের মধ্যেই বাড়তি ওজন কমিয়ে আবার আগের চেহারা ফিরে পেয়েছিলেন শিল্পা। এক্সারসাইজ আর ডায়েট। নিয়মিত মেনে চলেছিলেন শিল্পা। প্রথমে শুরু করেন হাঁটা ও সাইক্লিংয়ের মতো হালকা এক্সারসাইজ দিয়ে। এর পর ধীরে ধীরে ওয়েট ট্রেনিং, কার্ডিও এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন যোগাভ্যাস করেই আবার স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হয়েছেন তিনি।
মন্দিরা বেদি- যদি আপনার লক্ষ্য স্থির থাকে তাহলে সফল আপনি হবেনই। এটাই প্রমাণ করেছেন মন্দিরা বেদি। ডেলিভারির মাত্র ছ’মাসের মধ্যে ২২ কেজি ওজন কমিয়েছেন মন্দিরা। সপ্তাহে প্রতি দিন ২০ থেকে ৪০ মিনিট রানিং, স্পিনিং, কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ, সিঁড়ি ভাঙা, পাওয়ার যোগা মন্দিরাকে পৌঁছে দিয়েছে লক্ষ্যে। এর সঙ্গেই ব্রেকফাস্টে দুধ, পোরিজ, ডিম, সন্ধেবেলা ভূট্টা, ছোলা ও লাঞ্চ-ডিনারে হালকা ডাল, রুটি, সবজির রুটিনে উদাহরণ তৈরি করেছেন মন্দিরা।
করিশমা কপূর- দু’বার মা হয়েছেন করিশমা। এখনও মধ্য পঁচিশের চেহারাই ধরে রেখেছেন তিনি। করিশমা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর খাবার, এক্সারসাইজ ও দৌড়ই তাঁকে ২৪ কেজি ওজন কমাতে সাহায্য করেছে। সারা দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ছয় থেকে সাত বার অল্প অল্প করে খান। এটাই করিশমার ফিটনেস সাজেশন।
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন- বাকিদের মতো মা হওয়ার পরই আগের চেহারা ফিরে পাওয়ার তাড়া ছিল না ঐশ্বর্যার। মেদবহুল চেহারা নিয়েই সদর্পে ঘুরে বেরিয়েছেন। তোয়াক্কা করেননি গ্ল্যামারের। বড়পর্দায় কামব্যাকের ঠিক আগে ডায়েট, যোগাভ্যাস ও বাড়িতে কার্ডিও কার্ডিও ওয়ার্কআউট ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ঝরিয়ে ফেলেছেন মেদ। যদিও আগের চেহারা ফিরে পাননি তিনি। পেতেও চাননি। মা হিসেবেই গড়ে তুলেছেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি।
লারা দত্ত- প্রেগন্যান্সির সময় থেকেই চেহারা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন লারা। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত যোগাভ্যাস করতেন। মেয়ে সারয়ার জন্মের পরই অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলেন তিনি। তবে অন্যরা যেখানে ডায়েট ও এক্সারসাইজের ওপর ভরসা রেখেছেন লারা জোর দিয়েছেন পোস্ট ন্যাটাল মাসাজ ও ব্রেস্টফিডিং-এর ওপর। তাঁর কাছে ক্যালরি ঝরানোর সেরা উপায় স্তন্যদান। ডেলিভারির ৪০ দিন পর থেকেই নিয়মিত মাসাজ নিতেন লারা।