—প্রতীকী ছবি।
টাকার বিনিময়ে আর মাতৃজঠোর ভাড়া নেওয়া যাবে না। নিঃসন্তান দম্পতি প্রয়োজনে নিকট আত্মীয়দের মধ্যে থেকে সারোগেট মা নির্ধারণ করতে পারেন। তবে কোনও মতেই তাতে টাকার লেনদেন করা চলবে না। আর এই আইন অমান্য করলেই এক জনকে সর্বাধিক ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে। সারোগেসির আড়ালে বেআইনি ব্যবসা রুখতে সারোগেসি নিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করতে চলেছে কেন্দ্র। তার আগে বুধবার সারোগেসি বিলের এই খসড়া সামনে আনল কেন্দ্রীয় সরকার। অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে তা পেশ করা হবে।
এই বিল অনুযায়ী, কেউ সারোগেট মা হতেই পারেন। তবে, তাতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আনা হচ্ছে। যেমন, তাতে কোনও রকম আর্থিক লেনদেন থাকলে চলবে না। শুধুমাত্র তাঁর যাবতীয় চিকিৎসার খরচটাই বহন করতে পারবেন এক জন। তার উপর যিনি সন্তানের জন্য সারোগেসির সাহায্য নিতে চাইছেন, তাঁকে ন্যূনতম ৫ বছর দাম্পত্যজীবন অতিবাহিত করতে হবে। উপরন্তু তাঁকে বন্ধ্যাত্বের যথাযথ প্রমাণ পেশ করতে হবে। এর পর নিজের আত্মীয়ের মধ্যে কাউকে সারোগেট মা হিসাবে নির্বাচন করতে পারেন। তবে কোনও বিদেশি সারোগেট মা হতে পারবেন না। এমনকী, সেই বিদেশি আত্মীয় হলেও তাঁর সেই অধিকার থাকবে না। কারণ সে ক্ষেত্রে শিশুর নাগরিকত্ব, ভিসা ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়ে থাকে। তবে এই আত্মীয় শব্দটিকে স্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। বিল অনুমোদনের পরই তা জানা যাবে।
শুধু তাই নয়, সারোগেসিতে স্বচ্ছতা আনতে এবং একে কেন্দ্র করে দেশে মাথাচাড়া দিতে থাকা বেআইনি ব্যবসার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে নতুন একটি বোর্ডও গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নতুন করে কোনও সারোগেসি ক্লিনিকের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।