যে সমস্ত অসুখ মহিলাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলে তার মধ্যে অন্যতম ডিম্বাশয়ে সিস্ট। এমনিতেই অভ্যন্তরীণ কোনও সমস্যা দেখা না দিলে ডিম্বাশয়ের যত্নের কথা মেয়েরা খুব একটা ভাবেন না। অজান্তেই ডিম্বাশয়ে সিস্ট জন্মানো শুরু হয়ে যায়। কেন হয়? উপসর্গই বা কী? কতটা ভয়ের? দেখে নিন পলিসিস্টিক ওভারি নিয়ে কিছু তথ্য। ছবি: শাটারস্টক।
ছোট টিউমারের আকারে দেখতে সিস্টগুলো তরল বা অর্ধতরল উপাদানে ভর্তি। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, দু’টি ঋতুচক্রের মাঝে একটি ডিম্বাণু এসে হাজির হয় জরায়ুতে। কিন্তু সিস্ট থাকলে সেই ডিম্বাণু অসম্পূর্ণ অবস্থায় থাকে ও ডিম্বাশয় ছাড়িয়ে জরায়ুর দিকে এগোতেই পারে না। তাই শুক্রাণু এসেও খুঁজে পায় না ডিম্বাণুকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
সিস্ট আকারে সাধারণত এক মিলিমিটার থেকে ছয় সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আকারে ছোট, মোটামুটি এক-দুই মিলিমিটার হলে দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে তা বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু যদি সিস্টের আকার বড় হয়, তবে তা ফেলে না রেখে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা আবশ্যক। ছবি: শাটারস্টক।
ঋতুচক্রের সময় তলপেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব— এ সব ওভারিয়ান সিস্টের উপসর্গ। এ ছাড়া কোমরে টানা ব্যথা স্তনের শিথিলতা, অনিয়মিত ঋতুচক্র, শরীর ভারী লাগা, মলত্যাগ ও যৌনতার সময় সর্বদা ব্যথা লাগলেও সচেতন হোন। এ সব কিন্তু সিস্টের উপসর্গ। দ্রুত পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। ছবি: শাটারস্টক।
এন্ড্রোমেট্রিওসিস, গর্ভ ধারণের সময় নানা হরমোনজনিত সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া, বা মূত্রনালির সংক্রমণ থেকেও হতে পারে সিস্ট। ছবি: শাটারস্টক।
ডিম্বাশয়ে সিস্ট থেকে ক্যানসার হতে পারে কি না, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। চিকিৎসকরা কিন্তু অভয় দিচ্ছেন। জানাচ্ছেন, সময় মতো চিকিৎসা আর রোগ নির্ণয় হলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে অনেকটাই। তবে দীর্ঘ দিন ওষুধ না খেয়ে একে ফেলে রাখলে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
সিস্ট নিয়ে দুশ্চিন্তা কমাতে আলট্রাসোনোগ্রাফি করান। সেই রিপোর্টই বলে দেবে ঠিক কোন পর্যায়ে আছে অসুখ। তা থেকে আদৌ কোনও টিউমার তৈরির কোনও আশঙ্কা আছে কি না। ছবি: শাটারস্টক।
সিস্ট হলে গর্ভধারণেও কি সমস্যা হয়? চিকিৎসকদের মতে, তা হয় বইকি। তবে ছোট আকারের সিস্ট অতটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু গর্ভাবস্থাতেও বাড়ে সিস্ট। তাই সিস্টের লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।