অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আসছে। আর মাত্র কয়েকটা দিন। সেলিব্রেশন হবে নানা ভাবে। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে। আউট অফ থ্রি সিক্সটি ফাইভ ডেজ’ মাত্র একটা দিন সেলিব্রেট করা হবে কেন? আমি এটাতে বিশ্বাসই করি না।
সমাজ বলুন, আমাদের জীবন বা দেশ— এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে মেয়েদের কিছু করার নেই। ছেলেদের তাও কিছু লিমিটেশন রয়েছে। কিন্তু মেয়েদের তো তা নেই। ফলে মেয়েদের কন্ট্রিবিউশনের কথা বলতে গেলে মহাভারত লেখা হয়ে যাবে। দে শুড বি অনার্ড। তাঁদের প্রত্যেকটা মুহূর্তে স্যালুট করা উচিত।
বিশেষত ভারতে। এখানে তো মহিলারা কোনও ক্ষেত্রেই রেকগনিশন পান না। ওয়ার্কিং অথবা নন-ওয়ার্কিং, মেয়েদের রেকগনিশন মেলে না। এমন একটা অদ্ভুত মাইন্ডসেট রয়েছে এই সমাজের।
অথচ ভাবুন, আমাদের মাইথোলজি কিন্তু সে কথা বলে না। সে কালে স্বয়ম্বর সভা বসত। কতটা লিবারেল মাইন্ডসেট থেকে এ ধরনের আয়োজন সে সময়ে হয়েছে ভাবুন তো!
কিন্তু আজও মেয়ে বলে আমাদের সমাজে ভ্রুণহত্যা হয়। ভাবতে পারেন? এর থেকে বড় ক্রাইম, বড় লজ্জা আর কিছু হতে পারে না। এর পরও আমরা নিজেদের সভ্য বলি! ভেরি আনফরচুনেট।
আসলে কি বলুন তো, পপুলেশন, আর ল্যাক অব এডুকেশন। এই দু’টো কন্ট্রোল করা না গেলে আমরা এগোতে পারব না। কোনও একটা বাচ্চা পড়াশোনা না শিখলে সেটা পানিশেবল অফেন্স হওয়া উচিত। কই, সেটা তো আমাদের সমাজ করছে না!
এ বার যদি সিনেমার কথা ভাবি। আসলে সিনেমা তো সমাজেরই কথা বলে। ধরুন, ‘বাহুবলী’। আমি এই সিনেমাটার কথা বলছি, কারণ রিসেন্ট পাস্টে এটা খুব জনপ্রিয় সিনেমা। বক্স অফিসে হিট। সেখানেও মহিলা চরিত্ররাই ছবিটিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। অর্থাত্ উওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট অধিকাংশ দর্শক দেখতে পছন্দ করেছেন। তাঁদের ভাল লেগেছে। তার পর ধরুন ‘কুইন’, ‘নাম শাবানা’— কত ছবি হচ্ছে উওম্যান হিরোইজমকে পোট্রে করে। ফলে আই অ্যাম ভেরি হোপফুল, সেই জায়গাটা হয়তো আবার ফিরে আসবে।
আমি তো মনে করি, নারী আগে, পুরুষ তার পরে। নারী-পুরুষ সমান সমান নয়। নারীকে সম্মান করা উচিত। এই অ্যাওয়ারনেসটা দরকার। আগে এই কনসেপ্টটা বোঝাতে হবে। না হলে একটা দুটো সিনেমা কিছুই বদলাতে পারবে না।