প্রতীকী ছবি।
আধুনিক লাইফস্টাইলের অন্যতম বড় সমস্যা প্রি-টার্ম ডেলিভারি বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসব। যে সমস্যা কাটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডায়েট। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে প্রোবায়োটিক। অর্থাত্, প্রেগন্যান্সির ডায়েটে দই, ইয়োগার্ট বা প্রোবায়োটিক দুধের মতো প্রডাক্ট রাখলে তা এই ধরনের ঝুঁকি কমাতে পারে।
সুইডেনের সাহলগ্রেনস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়নকোলজির গবেষক মাশা নর্দভিস্ট জানাচ্ছেন, প্রেগন্যান্সির প্রথম পর্যায়ে প্রোবায়োটিক দুধ খেলে তা প্রি-টার্ম ডেলিভারি অর্থাত্ ৩৭ সপ্তাহের আগে প্রসবের ঝুঁকি কমায়। অন্য দিকে প্রোবায়োটিক দুধ প্রিক্ল্যাম্পশিয়ার ঝুঁকি কমায় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রিক্ল্যাম্পশিয়ার সমস্যায় প্রেগন্যান্ট মহিলারা উচ্চ রক্তচাপ ও প্রস্রাবে মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিনের সমস্যায় ভোগেন। প্রি-টার্ম ডেলিভারি ও প্রিক্ল্যাম্পশিয়া, এই দুই সমস্যার ক্ষেত্রেই শরীরে যে মাত্রায় প্রদাহ হয় তা প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক।
প্রবায়োটিকের মতো উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রদাহ কমিয়ে এই সমস্যাগুলোর ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন: মা হওয়ার পর প্রায় মারাই যাচ্ছিলেন সেরেনা!
নরওয়ের গবেষকরা ৭০ হাজার জন প্রেগন্যান্ট মহিলাকে নিয়ে গবেষণা করেন। দ্য নরওয়েইয়ান মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কোহর্ট নামের সেই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের প্রেগন্যান্সির ১৫তম, ২২তম এবং ৩০তম সপ্তাহে তাদের ডায়েট, লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য এবং প্রোবায়োটিক মিল্ক প্রডাক্ট খাওয়ার অভ্যাস সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: কেন মেনস্ট্রুয়াল কাপ বেছে নিচ্ছেন ভারতের মেয়েরা?
এদের মধ্যে ২৩ শতাংশ মহিলা জানান তারা প্রেগন্যান্ট হওয়ার আগে প্রোবায়োটিক দুধ খেয়েছেন। ৩৮ শতাংশ মহিলা জানান তারা প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাত্ ১৩ সপ্তাহের আগে প্রোবায়োটিক দুধ খেয়েছেন এবং ৩২ শতাংশ মহিলা জানান তারা প্রেগন্যান্সির শেষ পর্যায়ে অর্থাত্ ১৩ থেকে ৩০ সপ্তাহের মধ্যে প্রোবয়াটিক দুধ খেয়েছেন। খাওয়ার পরিমাণ ছিল গড়ে দেড় কাপ।
‘এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন’
গবেষণায় দেখা যায় যারা প্রেগন্যান্সির শেষ পর্যায়ে প্রোবায়োটিক দুধ খেয়েছেন তাদের প্রিক্ল্যাম্পশিয়ার ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। অন্য দিকে যারা প্রেগন্যান্সির প্রথম পর্যায়ে প্রোবায়োটিক দুধ খেয়েছেন তাদের প্রি-টার্ম ডেলিভারির ঝুঁকি কমেছে ২১ শতাংশ পর্যন্ত। গবেষকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত ইনফেকশনের কারণে প্রি-টার্ম ডেলিভারির প্রবণতা দেখা যায়। প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক পর্যায়ে প্রোবায়োটিক খেলে তা ইনফেকশন রুখতে পারে। যার ফলে প্রি-টার্ম ডেলিভারির ঝুঁকি কমে।