বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ ।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। মাত্র কয়েক ঘণ্টা। আবেগ, চাপা উদ্বেগ নিয়ে এক এক করে প্রহর গুনছেন আপামর দেশবাসী। কারণ, বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে ল্যান্ডারের চাঁদে অবতরণের কথা। কিন্তু কেন বিক্রমের অবতরণের জন্য বুধ সন্ধ্যাকেই বেছে নিলেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা? ইসরো বিজ্ঞানীদের দাবি, চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ ঘটবেই। আর এর জন্য ২৩ অগস্ট তারিখটিও খুব সাবধানে বেছে নিয়েছে ইসরো।
চন্দ্রলোকে অবতরণের পর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান তাদের বাকি অভিযান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সৌরশক্তি ব্যবহার করবে। এ দিকে, চাঁদের এক দিন হয় পৃথিবীর হিসাবে প্রায় ২৮ দিনে। এক চান্দ্রমাসে টানা ১৪ দিন রাত আর ১৪ দিন দিন থাকে। তাই চন্দ্রযান যদি এমন সময়ে অবতরণ করে যখন চাঁদ অন্ধকারে ডুবে থাকবে, তা হলে, এটি কাজ করবে না। তাই সূর্যের আলো থাকতে থাকতেই ল্যান্ডার এবং রোভারটি চাঁদের বুকে নামাতে চাইছে ইসরো।
ইসরো হিসাব কষে দেখেছে ২২ অগস্ট চাঁদের রাত্রিযাপন শেষ হচ্ছে। ২৩ অগস্ট থেকে টানা ১৪ দিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দিন থাকবে। সূর্যের আলোয় ঝকঝক করবে চন্দ্রপৃষ্ঠ। ২৩ অগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ মেরুতে দিন থাকবে। ফলে সৌরশক্তি ব্যবহার করে নিজেদের কাজ চালাবে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। পাশাপাশি, ভবিষ্যতের জন্য শক্তি সঞ্চয় করে রাখবে তারা।
ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর প্রমোদ কালের মতে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রা মাইনাস ২৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায়। তীব্র শীতে দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান চালানো সম্ভব নয়। এই কারণেই চন্দ্রযান অবতরণের জন্য এমন সময় বেছে নেওয়া হয়েছে, যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো থাকবে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত সব পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে বলে ইসরো জানিয়েছে। বিক্রমের গতিবিধির দিকে অনবরত নজর রাখা হচ্ছে। বিক্রম সঠিক সময়েই অবতরণ করবে বলেই আশাবাদী ইসরো।