Chandrayaan-3's Moon Landing

চন্দ্রলোকে ‘চারমূর্তি’! তথ্য খোঁজার ভার রম্ভা, চ্যাস্টে, ইলসা, অ্যারের কাঁধে, কী দায়িত্ব রয়েছে চার রক্ষীর?

ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণের পর তার পেট থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। এর পর বিক্রম এবং প্রজ্ঞান একে অপরের ছবি তুলবে। কাজ শুরু করবে ল্যান্ডারের পেলোডগুলিও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৪৬
Share:

চাঁদে অবতরণের পর কাজ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা চারটি পেলোড। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ ।

রম্ভা, চ্যাস্টে, ইলসা এবং অ্যারে। চাঁদে অবতরণের পর পরই কাজ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই চারটি পেলোড। এই পেলোডগুলির সাহায্যেই চাঁদে বাজিমাত করবে চন্দ্রযান। এই পেলোডগুলিই চাঁদের ‘অজানা রহস্য’ খুলে দেবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে।

Advertisement

চারটি পেলোডের মধ্যে, চাঁদের বুকে সূর্য থেকে আসা প্লাজ়মা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলি নিরীক্ষণ করবে রম্ভা (রেডিয়ো অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেন্সিটিভ আয়নোস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার)। চ্যাস্টে (চন্দ্র’স সারফেস থার্মোফিজ়িক্যাল এক্সপেরিমেন্ট) মেপে দেখবে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। একই সময়ে, অবতরণস্থলের আশপাশের মাটির কম্পন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইলসা (ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি)। পাশাপাশি ‘লেজ়ার রেট্রোরিফ্লেক্টর’ অ্যারে চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে। অর্থাৎ চাঁদের প্রাকৃতিক কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিরীক্ষণ করে তা পৃথিবীতে পাঠানোর দায়িত্ব থাকছে এই চার পেলোডের কাঁধে।

ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণের পর পরই তার পেট থেকে বেরিয়ে আসবে ছ’চাকার রোভার প্রজ্ঞান। এর পর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান একে অপরের ছবি তুলবে। সেই ছবি পাঠিয়ে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে সেগুলি। এর পর ইসরোর নির্দেশ পেয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে চলতে শুরু করবে প্রজ্ঞান। পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে এই চার পেলোড।

Advertisement

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই চাঁদের মাটি ছোঁবে ল্যান্ডার বিক্রম। বুধবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যা ৬টা ৪মিনিটে এই ল্যান্ডারের চাঁদে অবতরণের কথা। ইসরো বিজ্ঞানীদের দাবি, চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ ঘটবেই। এখনও পর্যন্ত সব পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে বলে ইসরো জানিয়েছে। লাইভ ট্র্যাকারের মাধ্যমে বিক্রমের গতিবিধির দিকে অনবরত নজর রাখা হচ্ছে। বিক্রম সঠিক সময়েই অবতরণ করবে বলে আশাবাদী ইসরো। আর সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য আবেগ এবং চাপা উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছে দেশবাসী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement