মহাকাশ স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে মহাকাশে হাঁটবেন সুনীতা। —ফাইল চিত্র।
কার্যত মহাকাশে ‘বন্দি’ তিনি। তাঁকে ছাড়াই পৃথিবীতে ফিরে এসেছে বোয়িং স্টারলাইনারের মহাকাশযান। যানটির একাধিক যন্ত্রাংশ ঠিকমতো কাজ করছিল না। তাই যাত্রীদের প্রাণের ঝুঁকি নিতে চায়নি বোয়িং ও আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এ হেন পরিস্থিতিতে ৮-৯ দিনের জন্য মহাকাশ সফরে গিয়ে মাসের পর মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। তবে ‘বন্দিদশাও’ বিফলে যেতে দিতে চান না সুনীতা। শোনা যাচ্ছে, পরপর বেশ কিছু ‘স্পেসওয়াক’-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
সব ঠিক থাকলে, ২০২৫ সালের শুরুতে স্পেসওয়াক করবেন তিনি। অর্থাৎ মহাকাশ স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে মহাকাশে হাঁটবেন সুনীতা। অভিযানের দিন বিশেষ স্পেসস্যুট পরতে হবে তাঁকে। পোশাকটিকে ভাল করে পরীক্ষা করে নেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। স্পেসস্যুটের ভিতরে যে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, তা ঠিকমতো কাজ করছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া, ডেটা রেকর্ডার বক্সটি কাজ করছে নাকি, তা খতিয়ে দেখা— দু’দিন ধরে এ সব কাজ করেছেন সুনীতা।
সুনীতারা কেমন আছেন মহাকাশ স্টেশনে, অপ্রত্যাশিত ভাবে দীর্ঘ এই অভিযানে তাঁদের শরীরস্বাস্থ্য কেমন আছে, এ নিয়ে বহু দুশ্চিন্তার কথা শুনতে পাওয়া গিয়েছে সাম্প্রতিক কালে। সুনীতা অবশ্য বরাবরই জানিয়েছেন, তাঁরা একদম সুস্থ রয়েছেন। এ দিনও জানান, মহাকাশ স্টেশনের এ বারের সফরে তিনি বেশ খুশি। সামনের স্পেসওয়াক নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। সুনীতার কথায়, ‘‘মহাকাশ আমার খুব আনন্দের জায়গা।’’ অতীতেও একইকথা শুনতে পাওয়া গিয়েছিল সুনীতার মুখে। জানিয়েছিলেন, তাঁর সবচেয়ে পছন্দের কাজের পরিবেশ ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’। অর্থাৎ প্রায় মাধ্যাকর্ষণবিহীন স্থান।