ব্যথানাশক ওষুধের চেয়েও ভাল কাজ করবে, কোন জিনিসের কথা বলছেন গবেষকেরা ছবি: ফ্রিপিক।
অসহ্য ব্যথায় ওষুধ খেতেই হবে। কিন্তু মাথাব্যথা, হাত-পায়ে একটু ব্যথা হল কি হল না, তাতে ওষুধ খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকে অনেকের। বাড়ির ফার্স্ট-এড্ বক্সে গুচ্ছ গুচ্ছ ব্যথানাশক ওষুধ অনেকেই মজুত করে রাখেন। কিন্তু সাম্প্রতিক নানা গবেষণা বলছে, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। ওষুধে ব্যথা সারে ঠিকই, কিন্তু তার সঙ্গে নানা শারীরিক সমস্যাও তৈরি হয়। অর্থাৎ, এগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। বেশ কিছু ব্র্য়ান্ডের ব্যথানাশক ওষুধের উপরে তো রীতিমতো নিষেধাজ্ঞাই জারি করা হয়েছে। সে জায়গায় ব্যথা-বেদনা কমাতে ঠিক ওষুধের মতোই কাজ করতে পারে একটি বিশেষ তেল।
ব্যথানাশক ওষুধ আইবুপ্রোফেনের মতোই নাকি কাজ করবে ওই তেল। অনেকের বাড়িতেই থাকে। এই তেলের নাম একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এই তেলের এমন গুণ আছে, যা শরীরের প্রদাহ নাশ করতে পারে। গাঁটে গাঁটে ব্যথাও কমাতে পারে।
ফিলাডেলফিয়ার মোনেল কেমিক্যাল সেন্সেস সেন্টারের গবেষকেরা জানিয়েছেন, একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এই তেলে ‘ওলিওক্যান্থাল’ নামে একটি উপাদান থাকে, যা ব্যথানাশক ওষুধ আইবুপ্রোফেনের মতোই কাজ করে। মাথাব্যথা বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হলে ওষুধের বদলে বেশি উপকারে আসতে পারে এই অলিভ অয়েল। ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। বহু জনের উপর পরীক্ষাটি করে বিজ্ঞানীরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
কতটা খেলে ব্যথা কমবে?
অলিভ অয়েল খেলেই যে ব্যথা সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে, এমনটা নয়। গবেষকেেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ মেয়াদে যাঁরা অলিভ অয়েল ব্যবহার করছেন, তাঁরা উপকৃত হবেন। রান্নায় দিয়ে বা স্যালাডে মিশিয়ে একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তা হলে আর ওষুধ খেতে হবে না বলেই দাবি গবেষকদের। সে ক্ষেত্রে প্রতি দিন ৫০ গ্রাম বা ৪ চা-চামচ করে অলিভ অয়েল খেতে হবে।
এই ধরনের তেল নিঃসরণে কোনও যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি কোনও তাপ কিংবা রাসায়নিকের ব্যবহারও হয় না। এই তেলের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ‘ফিল্টারিং’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলে অ্যাসিডের মাত্রা থাকে ০.৮ শতাংশ। এ ছাড়া এতে কোনও ধরনের বাড়তি গন্ধ ও স্বাদ ব্যবহার করা হয় না। সে কারণে এই তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর বলেই জানিয়েছেন গবেষকেরা।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। গবেষণালব্ধ ফল যা-ই হোক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু খাওয়া ঠিক হবে না।