ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী সহকর্মী বুচ উইলমোর এখনই পৃথিবীতে ফিরছেন না। তাঁদের মহাকাশে রেখেই ফিরে আসছে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযান। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ওই মহাকাশযান ফিরে আসবে পৃথিবীতে। তাতে থাকবেন না সুনীতারা। আপাতত তাঁদের মহাকাশে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাসা।
নাসা জানিয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। নতুন করে একটি মহাকাশযান তার জন্য পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (আইএসএস)। তত দিন সুনীতারা সেখানেই থাকবেন। ফেব্রুয়ারিতে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের ক্রিউ ড্রাগন মহাকাশযানের মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে।
নাসা জানিয়েছে, আগামী ছ’মাস আইএসএসে কাজ করবেন সুনীতা এবং বুচ। নাসার পরবর্তী প্রকল্পে তাঁদের যুক্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মহাকাশে গবেষণা চালিয়ে যাবেন তাঁরা। সুনীতাদের এই বর্ধিত মহাকাশ যাপন নাসার কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর থেকে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবে। মহাকাশে দীর্ঘ দিন মানুষ থাকলে কী কী হতে পারে, সেই সম্ভাবনার কথাও জানা যাবে সুনীতাদের মাধ্যমেই।
কেন পিছিয়ে দিতে হল সুনীতাদের ফেরার দিন?
বোয়িং সংস্থার যে মহাকাশযানে সুনীতাদের ফেরানোর পরিকল্পনা ছিল, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছে। মহাকাশচারীদের নিয়ে ফেরা সেটির পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সেই কারণেই শেষ মুহূর্তে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। বোয়িং স্টারলাইনার সুনীতাদের ছাড়াই ফিরে আসার ফলে সংস্থার বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। অন্তত সাড়ে ১২ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বোয়িং, ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে যা ১০৪৮ কোটি টাকা।
বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়ে গত ৫ জুন মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকে পড়েন দুই নভশ্চর। আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশেই রয়েছেন তাঁরা। সেই যাপন আরও দীর্ঘ হতে চলেছে।