মডেল-মহাকাশযান: তৈরি করা হয়েছিল বসিরহাটের বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে। নিজস্ব চিত্র
মহাকাশযান ও উপগ্রহের মডেল নিয়ে মহাকাশের নানা অজানা তথ্য মেলে ধরলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র বিজ্ঞানীরা। তিনদিনের এই বিজ্ঞান প্রদর্শনীটির আয়োজনে ছিল বসিরহাট হাইস্কুলের প্রাক্তনীদের ‘অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশন’। বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বিশিষ্ট মহাকাশবিজ্ঞানী জেপি যোশি, বিশিষ্ট শিক্ষক সুভাষ কুণ্ডু, অধ্যাপক শৈবাল রায়, অমলেন্দু দত্ত প্রমুখ।
জেলায় প্রথম এই ধরনের কোনও প্রদর্শনীর আয়োজন হল। স্বাভাবিক ভাবেই সেটি দেখতে বসিরহাট মহকুমার ৮০টি স্কুলের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী এসেছিল। এসেছিলেন তাদের অভিভাবকেরাও।
প্রদর্শনীটিতে মহাকাশযানের মডেল, বর্তমান মানবজীবনে উপগ্রহের ভূমিকা, মৎস্য প্রকল্পে উপগ্রহ চিত্রের প্রয়োগ, রকেট, চন্দ্রযান ইত্যাদি নিয়ে ছিল অডিও ভিসুয়াল শো, সেমিনার, কুইজ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, মহাকাশ গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়েও বিজ্ঞানীরা ছাত্রছাত্রীদের সামনে আলোচনা করেন। কী ভাবে মহাকাশযানের বিভিন্ন অংশ একত্রিত করা হয়, সে সব বিষয়ে ছবিও দেখানো হয়। তবে মহাকাশযান তৈরি করতে প্রয়োজনীয় বিশেষ ধরনের ধাতবপাত দেখে সব চেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত হয়েছে পড়ুয়ারা।
এত দিন মহাকাশযান কিংবা উপগ্রহের কোনও বিষয় পড়ুয়াদের বোঝাতে গেলে সাধারণত থার্মোকল কিংবা মোটা কাগজের তৈরি মডেল ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এই প্রদর্শনীতে আনা হয়েছিল প্রায় আসলের মতো দেখতে মডেল। যা দেখে পড়ুয়ারা খুবই মুগ্ধ। ছোট ও বড় মিলিয়ে প্রায় ৪০টি উপগ্রহ ও মহাকাশযানের মডেল আনা হয়েছিল প্রদর্শনীতে। মহাকাশ গবেষণার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্যচিত্রও দেখানো হয়েছে প্রদর্শনীতে।
বসিরহাট হাইস্কুলের অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমলেন্দু দত্ত বলেন, ‘‘রাজ্যে এ ধরনের প্রদর্শনী খুব কম হয়েছে। জেলায় সম্ভবত প্রথম। ভারতের মহাকাশ উৎক্ষেপনের সাফল্যের প্রতিরূপ হিসেবে আর্যভট্ট, ইনস্যাট ১, ২-সহ বিভিন্ন রকেট দেখানো হল ছাত্রছাত্রীদের। উপগ্রহের মডেল শুধু দেখানো নয়, তার খুঁটিনাটিও তাদের বুঝিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে উপগ্রহ। সে কারণেই উপগ্রহ ও মহাকাশের নানা বিষয় ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা হল।’’