সময় হঠাৎ থমকে দাঁড়াল, ৫৬:২৪

উৎক্ষেপণ দেখবেন বলে এসেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। হাজির দেশ-বিদেশের সাংবাদিকেরা। রবিবার রাত ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ আচমকা বন্ধ হয়ে যায় কাউন্টডাউনের ঘড়ি। সরগরম মিডিয়া সেন্টার হঠাৎ থম মেরে যায়।

Advertisement

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

শ্রীহরিকোটা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০৪:০৮
Share:

কাউন্টডাউনের ঘড়ি।—ছবি এএফপি।

ইজ়রায়েলে উৎক্ষেপণ বিভ্রাটের জেরে তাদের মহাকাশ প্রকল্প পণ্ড হয়েছিল গত এপ্রিলে। সেই ঘটনার পর এক বার উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দিয়েছিল ইসরো। নতুন করে কিছু পরীক্ষানিরীক্ষাও হয়। সব দিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই স্থির হয় দিনক্ষণ। এর পাশাপাশি দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল প্রচারে নামে ইসরো এবং কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, অভিযানের কৌশল এবং উদ্দেশ্য, দুই-ই দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো।

Advertisement

উৎক্ষেপণ দেখবেন বলে এসেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। হাজির দেশ-বিদেশের সাংবাদিকেরা। রবিবার রাত ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ আচমকা বন্ধ হয়ে যায় কাউন্টডাউনের ঘড়ি। সরগরম মিডিয়া সেন্টার হঠাৎ থম মেরে যায়। সাধারণত, উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই কন্ট্রোল রুমের ঘোষণা, কথাবার্তা মাইকে শোনা যায়। মিডিয়া সেন্টারে তা শোনার আলাদা ব্যবস্থাও থাকে। রাত পৌনে দু’টোর আগে পর্যন্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত ইসরোর আধিকারিকদের হাসিঠাট্টা চলছিল।

পৌনে ২টোর পর থেকেই আচমকা মাইকে ঘোষণা বন্ধ হয়ে যায়। পুরো ছবিটাই এক লহমায় বদলে যায় মিডিয়া সেন্টারে। হঠাৎ কাউন্টডাউন বন্ধ হতেই শোরগোল পড়ে যায়। কী হয়েছে, তা বুঝতে পারছিলেন না ইসরোর আধিকারিকেরাও। তাঁরাও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারছিলেন না কেউ। কেন গোটা ছবিটা আচমকা বদলে গেল, তা নিয়ে সদুত্তর ছিল না। মিডিয়া সেন্টারের একটি ঘরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন কর্তারা। রাত ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ ইসরোর মুখপাত্র বি আর গুরুপ্রসাদ বিবৃতি দেন, প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের জন্য উৎক্ষেপণ স্থগিত।

Advertisement

ইসরোর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বলছে, রবিবার রাত ১টা নাগাদ তরল অক্সিজেন ভরার কাজ শেষ হয়েছিল। তখনও হাইড্রোজেন জ্বালানি ভরার কাজ চলছে। রাত ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ হাইড্রোজেন ভরার কাজও শেষ হয়। তার পরেই থমকে যায় সময় গোনা। ডিজিট্যাল ঘড়িতে স্থির হয়ে তখন ৫৬:২৪ সংখ্যাটি।

উৎক্ষেপণ স্থগিত হওয়ায় কত আর্থিক লোকসান হল, তা খোলসা করতে চায়নি ইসরো। তবে তাদের আধিকারিকের বক্তব্য, গোটা প্রকল্পের খরচের তুলনায় সেটা কিছুই নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement