স্পেস-এক্স রকেটের উৎক্ষেপণের সময় সেই বিস্ফোরণ। ফ্লোরিডায়, বৃহস্পতিবার।
মুখ পুড়ল স্পেস-এক্সের কর্ণধার এলন মাস্কের। আর বাজ পড়ল ফেসবুকের মাথায়!
ফ্লোরিডায় মাঝ সমুদ্রে তুমুল বিস্ফোরণে স্পেস-এক্সের রকেট ছাই হয়ে যাওয়ায় মুখ রীতিমতো ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে আর এক মার্কিন কোটিপতি মার্ক জুকেরবার্গের হাতে গড়া ফেসবুকের।
এক মার্কিন কোটিপতির ইমেজ যখন রকেট উৎক্ষেপণের ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে, তখন আরেক মার্কিন কোটিপতির মুখে কেন গভীর উদ্বেগের ছায়া? কারণ, স্পেস-এক্সের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের রকেটে বৃহস্পতিবার রাখা ছিল ফেসবুকের একটি উপগ্রহ। যার নাম- ‘অ্যামোস-সিক্স’। ফেসবুক এই উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠাতে চেয়েছিল আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির দুর্গম, প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ বাড়াতে আর তা দ্রুততর করতে। তুমুল বিস্ফোরণে রকেট ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ার সময় তার ভেতরে থাকা ফেসবুকের ওই উপগ্রহটিও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির পীঠস্থান মার্কিন মুলুকে এক কোটিপতির ঘোর দুর্দিনে আর এক কোটিপতি মুষড়ে পড়েছেন, এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না।
এই অভাবনীয় ঘটনা ঘটল কী ভাবে?
গত বছরেই ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গ জানিয়েছিলেন, আফ্রিকা মহাদেশ তাঁর ব্যবসার ‘প্রাইম টার্গেট’। শুধু আফ্রিকার দেশগুলিতেই ফেসবুকের ইউজারের সংখ্যাটা ৮ কোটি ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ওই সংখ্যাটা আরও দ্রুত গতিতে বাড়াতে চায় ফেসবুক। সে জন্য আফ্রিকার বিশাল একটি এলাকার দেশগুলির একেবারে অন্তরে-অন্দরে, তাদের প্রত্যন্ত গ্রাম, মফস্সল, দুর্গম, প্রায় মরুভূমি এমন সব এলাকায় ব্রডব্যান্ড যোগাযোগের জাল আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। আরও দ্রুত করতে হবে ইন্টারনেটের গতিকে। সেই লক্ষ্যেই মহাকাশে ফেসবুক একটি উপগ্রহ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল। স্পেস-এক্সের রকেটে চাপিয়ে ফেসবুক সেই উপগ্রহটিকেই পাঠাতে চেয়েছিল মহাকাশে। সেই উপগ্রহের কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই একটি ড্রোন ওড়ানো হত আফ্রিকার আকাশে। সেই ‘আকিলা’ ড্রোনের একটি মডেল ভ্যাটিকানে গিয়ে পোপ ফ্রান্সিসকে উপহার দিয়েছিলেন জুকেরবার্গ। তার ফলে, শুধু আফ্রিকারই আরও একশো কোটি মানুষ চলে আসতেন ব্রডব্যান্ডের আওতায়।’’
আরও পড়ুন- বিশ্বের পা মঙ্গলে, ভারত আলোর গতিতে ফিরে যাচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক যুগে!
চাইলেই ভাল স্প্রিন্টারকে কি আমরা বানাতে পারব পদকজয়ী ম্যারাথনার?
জিন, হরমোন, পরিবেশ পিছিয়ে রাখছে ভারতীয় অ্যাথলিটদের?