—ফাইল চিত্র।
মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে পৃথিবী থেকে। মহাকাশে এক সারিতে আসবে সৌরজগতের ছ’ছ’টি গ্রহ। খালি চোখেই তার বেশির ভাগটা দেখতে পাবেন মানুষ। যন্ত্রের সাহায্য নিলে পুরো দৃশ্যই ঝকঝকে হয়ে উঠবে চোখের সামনে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের ছ’টি গ্রহ কাছাকাছি আসতে চলেছে। এক সারিতে তাদের অবস্থান দেখা যাবে পৃথিবী থেকে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও ওই দৃশ্য দেখা যাবে। প্রায় এক সারিতে অবস্থান করবে বুধ, মঙ্গল, বৃহস্পতি, ইউরেনাস, নেপচুন এবং শনি।
এক সারিতে একাধিক গ্রহ অবস্থান করলে মহাজাগতিক পরিভাষায় তাকে বলে ‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’। এতে গ্রহগুলি একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে না। তাদের অবস্থান এমন হয় যে, পৃথিবীর সাপেক্ষে তারা এক সারিতে রয়েছে বলে মনে হয়। ৩ জুন থেকে আকাশে এই দৃশ্য দেখা যেতে পারে। অন্তত এক সপ্তাহ তা দেখতে পাবেন মহাকাশ বিষয়ে উৎসাহীরা।
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ৩ জুনের আগেই সূর্যের বেশ কিছুটা কাছাকাছি চলে আসার কথা সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির। তার পাশে বুধ চলে আসবে আর কিছু দিনের মধ্যেই। একে একে অন্য গ্রহগুলিকেও দেখা যাবে ওই সারিতে।
‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’ দেখার সবচেয়ে ভাল সময় ভোররাতে, সূর্য ওঠার ঠিক আগে। ওই সময়ে আকাশের পূর্ব দিকে তাকালে শনি গ্রহ দেখা যাবে। হালকা হলুদ আভা থাকবে তাতে। শনির ঠিক নীচে দেখা যাবে লাল আভাযুক্ত মঙ্গল গ্রহকে। পূর্ব দিগন্ত থেকে ১০ ডিগ্রিরও কম উচ্চতায় দেখা যাবে বুধকে। মঙ্গলের সামনে থাকবে বৃহস্পতি। সারির শেষ দিকে থাকবে ইউরেনাস এবং নেপচুন। এই দু’টি গ্রহ খালি চোখে দেখা যাবে না। এ ছাড়া, শুক্র গ্রহ সূর্যের অনেক কাছাকাছি থাকায় সেটিও দৃশ্যমান হবে না। তবে ছয় গ্রহের সঙ্গে থাকবে চাঁদও।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে, সূর্য ওঠার ২০ মিনিট আগে একে একে গ্রহগুলি পূর্ব দিকে দৃশ্যমান হবে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে, আকাশে মেঘ থাকলে তা দেখা যাবে না।
এই ধরনের ‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’ নিয়ে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে। অনেকেই বলেন, গ্রহগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় আকারে দেখা যাবে। কিন্তু তা সত্য নয় বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের স্বাভাবিক অবস্থাতেই থাকবে এই সকল গ্রহ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভারতের সব জায়গা থেকেই এই দৃশ্য দেখা যাবে আগামী কয়েক দিন।