Chandrayaan-3 Update

চাঁদে প্রজ্ঞানের সামনে চার মিটারের গর্ত, প্রথম প্রতিবন্ধক কী ভাবে এড়াল ইসরোর রোভার?

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে যেখানে চন্দ্রযান-৩ নেমেছে, এর আগে পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পারেনি। ওই এলাকায় গর্ত, পাথর, ঢিবির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৭
Share:

চাঁদের মাটিতে ইসরোর রোভার প্রজ্ঞান। ছবি: ইসরো।

চাঁদে তৃতীয় চন্দ্রযানের রোভার প্রজ্ঞান প্রথম বার বাধা পেল। তার সামনে একটি বড়সড় গর্ত এসেছিল। ইসরো সূত্রে খবর, গর্তটি সফল ভাবেই পাশ কাটাতে পেরেছে প্রজ্ঞান। ওই গর্তটি চার মিটার চওড়া ছিল।

Advertisement

ইসরো টুইট করে জানিয়েছে, প্রজ্ঞানের অবস্থানের চেয়ে তিন মিটার দূরে গর্তটি দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে রোভারটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে কোনও বিপদ হয়নি।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে যেখানে চন্দ্রযান-৩ নেমেছে, এর আগে পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পারেনি। ফলে দক্ষিণ মেরু এত দিন অনাবিষ্কৃত ছিল। ওই এলাকায় গর্ত, পাথর, ঢিবির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। তার মধ্যেই ক্যামেরার সাহায্যে নিরাপদ স্থান বাছাই করে অবতরণ করেছে তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম। গত ২৩ অগস্ট সেই অবতরণের পর ইতিহাসে নাম উঠেছে ভারতের।

Advertisement

ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের কিছু পরে তার পেটের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে রোভার প্রজ্ঞান। সেটি ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে ঘুরছে। সেখান থেকে তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করছে এবং বিক্রমের মাধ্যমে তা আবার পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে এখনও পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব হচ্ছে। কোনও সিস্টেমে কোনও গোলমাল হয়নি। ১৪ দিন অর্থাৎ এক চন্দ্রদিবস পর্যন্ত চাঁদে কাজ করবে প্রজ্ঞান এবং বিক্রম। সূর্যের আলোর শক্তিতে তারা কাজ করছে। সূর্য ডুবে গেলে কর্মক্ষমতাও হারাবে চন্দ্রযান-৩।

প্রজ্ঞানের মোট ছ’টি চাকা। এর গতি সেকেন্ডে মাত্র এক সেন্টিমিটার। এই গতিতেই চাঁদে দিব্যি হেঁটেচলে বেড়াচ্ছে রোভারটি। এতে রয়েছে একাধিক দিকনির্দেশক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে প্রজ্ঞান। বেঙ্গালুরুতে ইসরোর অফিস থেকে রোভারকে আংশিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ইসরো রবিবারই টুইট করে জানিয়েছে, চাঁদের মাটির উষ্ণতা মেপেছে রোভার। দক্ষিণ মেরুর উষ্ণতাও সে বোঝার চেষ্টা করছে। চাঁদের মাটির গভীরে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পৌঁছনোর ক্ষমতা রয়েছে প্রজ্ঞানের। রবিবার ইসরো একটি উষ্ণতার গ্রাফ প্রকাশ করে দেখিয়েছে, চাঁদের মাটি থেকে ২০ মিলিমিটার গভীরেই উষ্ণতা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement