থাইরয়েডে ভুগলেও ওজন কমানো সম্ভব। ছবি:সংগৃহীত।
ওজন কমানো সহজ নয়। এই কাজটি আরও দুরূহ হয়ে যায়, যখন থাইরয়েডের সমস্যা থাকে। থাইরয়েড থাকলে এমনিতেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিলে হয়ে পড়ে। তখন বিস্তর চেষ্টা করেও কমতে চায় না ওজন। থাইরয়েড হলে বিপাকীয় হার কিছুটা কমে যায়। ফলে হজমের গন্ডগোলের মতো কিছু কারণে ওজন বাড়তে থাকে। থাইরয়েডে ভুগলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে ঠিকই, কিন্তু একেবারে অসম্ভবও নয় তা। কয়েকটি উপায় মেনে চললে থাইরয়েড থাকা সত্ত্বেও ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়।
পেট খালি না রাখা
ওজন কমানোর পথ উপোস করে থাকা হতে পারে না। থাইরয়েড থাকলে তো পেট খালি রাখা একেবারেই উচিত নয়। তা হলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে দ্বিগুণ। বেশি ক্ষণ খালিপেটে থাকলে চলবে না। একসঙ্গে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। তা হলে দু’দিকই রক্ষা করা যাবে।
শরীরচর্চা
থাইরয়েড রোগীদের ওজন কমাতে চাইলে শরীরচর্চা করা বাধ্যতামূলক। রোগা হওয়ার জন্য শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। জিমে কিংবা বাড়িতে— শারীরিক কসরত বজায় রাখা জরুরি। কার্ডিয়ো করতে পারেন। পুল আপ কিংবা পুশ আপও করতে পারেন।
মিষ্টি খাওয়ায় রাশ টানুন
থাইরয়েডের সমস্যায় মিষ্টি খাওয়া অসুবিধার নয়। তবে ওজন কমাতে চাইলে মিষ্টি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে রাশ টানা প্রয়োজন। নয়তো চেষ্টা করেও রোগা হওয়া সম্ভব নয়।
নরম পানীয় এড়িয়ে চলুন
খেতে ভাল লাগলেও এই ধরনের পানীয় যত কম খাবেন, ততই ভাল। এতে যে পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তা অল্প সময়েই ওজন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। থাইরয়েড থাকলে আরও বেশি করে এই পানীয় এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত ঘুমোন
ওজন কমাতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। বেশ কিছু গবেষণা বলছে, ঘুমের অভাব স্থূলতার কারণ হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। ঘুম কম হলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।