চিনের বানানো সেই আশ্চর্য সুপারকম্পিউটার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটার বানাল চিন।
এখন দুনিয়ার সর্বাধুনিক সুপারকম্পিউটারের যে জটিল গাণিতিক সমস্যার জট খুলতে লেগে যায় কম করে ৮ বছর, চিনা বিজ্ঞানীদের বানানো এই সুপারকম্পিউটার সেই সমস্যার সমাধান ৭০ মিনিটের মধ্যেই করে ফেলতে পারছে বলে গবেষকদের দাবি। ৬৬ কিউবিটের এই দ্রুততম সুপারকম্পিউটারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুশংসি’।
সাধারণ বা ‘ক্লাসিক্যাল’ কম্পিউটারে যেটা ‘বিটস’ সেটাই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ‘কোয়ান্টাম বিটস’ বা ‘কিউবিটস’। রিভিউ পর্যায় পেরিয়ে গবেষণাপত্রটি একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকায় এখন প্রকাশের অপেক্ষায়।
গবেষণাপত্রটিতে জানানো হয়েছে গুগলের ৫৪ কিউবিটের সাইকামোর কোয়ান্টাম কম্পিউটার যে ধরনের জটিলতম গাণিতিক সমস্যার জট খুলতে পারদর্শী, জুশংসি তার চেয়ে ১ হাজার গুণ জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে এক ঘণ্টার একটু বেশি সময়ে, মাত্র ৭০ মিনিটে।
শুধু তা-ই নয়, কোনও একটি সমস্যার জট অনেক দ্রুত গতিতে খুলে ফেলার পাশাপাশি, একই সঙ্গে বহু সুজটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধানেও জুশংসি পারদর্শিতা অনেক গুণ কম সময়ে দেখাতে পেরেছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের পদার্থবিদ পিটার নাইট বলেছেন, “মানতেই হবে, গবেষকরা অসাধ্যসাধন করেছেন। এত তাড়াতাড়ি এমন দ্রুত সুপারকম্পিউটার আমরা বানিয়ে ফেলতে পারব বলে আমার অন্তত আশা ছিল না। এই উদ্ভাবন জ্যোতির্বিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞানে তো বটেই সাধারণ মানুষেরও কাজে লাগতে শুরু করবে হয়তো আর কয়েক বছর পর থেকেই।”