আমেরিকার আকাশে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। ছবি: রয়টার্স।
বিরল বলয়গ্রাস গ্রহণের সাক্ষী থাকল আমেরিকা। উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু কিছু এলাকা থেকে শনিবার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে। সূর্যের আলোকে ঢেকে দিয়েছিল চাঁদের ছায়া। সেই গোল চাকতির মতো চাঁদকে ঘিরে চারপাশ থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছিল সূর্যের আলোয়। যেন সাময়িক ভাবে আগুনের বলয় তৈরি হয়েছিল আকাশে। আমেরিকার বাসিন্দারা ঝকঝকে আকাশে বিরল গ্রহণ দেখে উচ্ছ্বসিত।
আমেরিকায় বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা গিয়েছে আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়া, নিউ মেক্সিকো, উটাহ্, টেক্সাস প্রদেশ, মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, পানামা, কলম্বিয়া, ব্রাজিলের বেশ কিছু অঞ্চল থেকে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রহণ চাক্ষুষ করেছেন বাসিন্দারা। বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন সকলেই।
সূর্যের আংশিক গ্রহণ মাঝেমাঝে দেখা যায়। তবে বলয়গ্রাস গ্রহণ যথেষ্ট বিরল। সচরাচর এই ধরনের গ্রহণ হয় না। তাই এই গ্রহণ নিয়ে মানুষের এত উৎসাহ এবং আগ্রহ। সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ এবং পৃথিবীর দূরত্ব যদি সর্বাধিক হয়, তখন বলয়গ্রাস গ্রহণ হয়ে থাকে। কারণ, দূরত্বের জন্য পৃথিবী থেকে চাঁদকে অনেক ছোট দেখায়। তাই সূর্যের আলো সম্পূর্ণরূপে চাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে না। তখন আংটির আকারের গ্রহণ দেখা যায়।
শনিবারের গ্রহণের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স।
নাসা আগেই জানিয়েছিল, শনিবারের গ্রহণ আমেরিকার কিছু অংশ থেকেই শুধু দেখা যাবে। বিশ্বের অন্য কোনও প্রান্ত থেকে গ্রহণ দেখা যাবে না। তবে আগ্রহীদের জন্য গ্রহণের সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। নাসার সেই সম্প্রচারে চোখ রেখে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে গ্রহণ উপভোগ করেছেন অনেকেই।
আমেরিকার বিভিন্ন শহরে শনিবার গ্রহণ নিয়ে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেককেই রাস্তাঘাটে, সমুদ্রসৈকতে বিশেষ রোদচশমা পরে গ্রহণ দেখতে দেখা গিয়েছে। সমাজমাধ্যমে পরে সেই অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যাও করেছেন তাঁরা।
গ্রহণ দেখতে বিশেষ রোদচশমায় তরুণী। ছবি: রয়টার্স।