-ফাইল ছবি।
প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অ্যান্টিবডিদের শত্রু চেনানোর জন্য আর টিকার মাধ্যমে আর মানবশরীরে মৃত সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ঢোকানোর দরকার হবে না। ঢোকাতে হবে না সেই ভাইরাসের কোনও অংশও। এমন একটি অভিনব উপায়ে বানানো টিকা বানাল ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন, যার খুব অল্প পরিমাণেই কাজ হয়ে যাবে। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কমানো যাবে। গবেষণাপত্রটি একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশের অপেক্ষায়।
ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের তরফে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই টিকার মাধ্যমে মানবশরীরে প্রবেশ করানো হবে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (আরএনএ)-কে। সেটাই ঢোকার পর মানবশরীরের কয়েকটি প্রোটিনের সাহায্য নিয়ে নিজের বংশবৃদ্ধি (রেপ্লিকেশন) করতে শুরু করবে। ভাইরাসের এই মেসেঞ্জার আরএনএ-ই হয় সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বাইরের স্তরে থাকা শুঁড়ের মতো স্পাইক প্রোটিনের এমন গ্লাইকোপ্রোটিন তৈরি করতে পারবে, না হলে তৈরির বার্তা পাঠাবে যা মানবশরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে না। সেই গ্লাইকোপ্রোটিনই হবে অ্যান্টিজেন। শত্রু। যাকে চেনানো হবে মানবশরীরের অ্যান্টিবডিদের।
“যেহেতু এই টিকায় মৃত ভাইরাস বা তার কোনও অংশকে মানবশরীরে ঢোকানো হচ্ছে না তাই এই টিকা অনেক বেশি নিরাপদ হবে। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা কমবে। এমনকি, অল্প পরিমাণেই কাজ করবে এই টিকা”, দাবি ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের কোভিড টিকা প্রকল্পের প্রধান অধ্যাপক রবিন শ্যাটকের।