এই সেই পেরুর আটাকামা মরুভূমি। যা অনেকটা মঙ্গলের ‘গেল ক্রেটার’ এলাকার মতো দেখতে।
এ বার মঙ্গলে আলু ফলাতে চায় নাসা। প্রচুর পরিমাণে।
সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে খুব অল্প জল আর নুন লাগে, এমন একশোটি প্রজাতির আলু বেছে নিয়েছে নাসা।
পেরুর আটাকামা মরুভূমি। যা দেখতে অনেকটা মঙ্গলের বেলেপাথুরে এলাকাগুলোর মতো। ছবি-নাসা।
তবে এখনই একেবারে সরাসরি ‘লাল গ্রহে’ গিয়ে আলু চাষ শুরু করার ভুলের ফাঁদে পড়তে চায় না নাসা। আমাদের এই বাসযোগ্য গ্রহেই, কৃত্রিম ভাবে মঙ্গলের পরিবেশ-পরিমণ্ডল বানিয়ে সেখানে
খুব অল্প জল আর লবণাক্ত মাটিতে আলু ফলানোর চেষ্টা চালানো হবে। সেই পরীক্ষা পুরোপুরি সফল হলে এই শতাব্দীর তৃতীয় দশকে মঙ্গলে যখন মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার, তখন ‘লাল গ্রহে’ও ওই বিশেষ প্রজাতির আলু ফলানোর চেষ্টা চালাবেন মহাকাশচারীরা।
তবে প্রাথমিক ভাবে ওই পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর আটাকামা মরুভূমিকে। নাসা জানাচ্ছে, আটাকামা মরুভূমিতে কৃত্রিম পরিবেশে পরীক্ষামূলক ভাবে, কয়েকটি বিশেষ প্রজাতির আলু ফলানোর জন্য সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ‘লিমা ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার’ (সিআইপি)-এর মতো একটি আন্তর্জাতিক আলু চাষ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের। একটি গম্বুজের মতো কাঠামো বানিয়ে, তার ভেতরের এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে, কৃত্রিম পদ্ধতিতে ওই আলু চাষ করা হবে। আর তার জন্য মোট সাড়ে চার হাজার প্রজাতির আলুর মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রায় একশোটি প্রজাতিকে। মঙ্গলের মতো পরিবেশ-পরিমণ্ডলেও যাদের ফলন হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।