নিজের তৈরি উপগ্রহ হাতে রিফথ শারুক। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সত্যি হল। মাটি ছেড়ে মহাকাশে পাড়ি জমাল তামিলনাড়ু কিশোরের তৈরি ক্ষুদ্রতম উপগ্রহ ‘কালামস্যাট’। নেপথ্যে নাসা।
ভারতের কাছে এটি ঐতিহাসিক সাফল্য। আর তামিলনাড়ুর ১৮ বছরের কিশোর রিফথ শাহরুকের কাছে স্বপ্ন সফল হওয়ার উচ্ছ্বাস। দু’টি ধারা যেন মিলে গেল একই স্রোতে। উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের সঙ্গে সঙ্গে নাসার মুকুটে সাফল্যের নতুন পালক তো জুড়লই, বিশ্ব দরবারে রেকর্ড করল ভারতও।
নাসা সূত্রে খবর, গতকাল, বৃহস্পতিবার ওয়ালপস দ্বীপ থেকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয় ‘কালামস্যাট’। ওজন মাত্র ৬৪ গ্রাম। একটি সাউন্ডিং রকেটে মুড়ে উপগ্রহটিকে পাঠানো হয় মহাকাশে। পুরো অভিযানটির তত্ত্বাবধান করেন ‘স্পেস কিডজ ইন্ডিয়া’র সিইও শ্রীমাথি কেশন। তিনি জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের ১২৫ মিনিট পরে রকেট থেকে উপগ্রহটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিকল্পনা মাফিক মহাকাশে মাইক্রো-গ্র্যাভিটি পরিবেশে বেশ কিছুক্ষণ থাকে উপগ্রহটি। পরে সেটি সমুদ্রে পড়ে যায়। তবে কেশন জানিয়েছেন, উপগ্রহটি উদ্ধার করে ডেটা-ডিকোডের পরে তামিলনাড়ুতে পাঠিয়ে দেবে নাসা।
আরও পড়ুন: মহাকাশে পাড়ি দিল কার্টোস্যাট-২
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের নাম অনুসারে ওই উপগ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কালামস্যাট’। তামিলনাড়ুর পাল্লাপটি শহরের বাসিন্দা রিফথ শাহরুকের তৈরি ওই উপগ্রহটি রিইনফোর্সড কার্বন ফাইবার পলিমার দিয়ে তৈরি। ওজন মাত্র ৬৪ গ্রাম। আয়তনে ৩.৮ ঘন সেন্টিমিটার। হাতের মুঠোয় ধরা যায় উপগ্রহটি। পুরোপুরি ৩ডি প্রিন্টিং টেকনোলজির ব্যবহারে তৈরি উপগ্রহটিতে রয়েছে ক্ষুদ্র গিগার মুলার কাউন্টার যার সাহায্যে মহাজাগতিক বিকিরণ মাপা যায়। এর প্রধান কাজ ৩ডি প্রিন্টেড কার্বন ফাইবারের কর্মক্ষমতা বোঝা। ‘নাসা’ এবং ‘আই ডুডল লার্নিং’-এর আয়োজিত ‘কিউবস ইন স্পেস’ নামে একটি প্রতিযোগিতায় নজর কাড়ে শাহরুকের ওই উপগ্রহ। তারপরেই সেটি মহাকাশে পাঠানোর সিন্ধান্ত নেয় নাসা। উৎক্ষেপণের সাফল্যে অভিভূত কেশন জানিয়েছেন পুরো অভিযানটাই ‘স্বর্গীয়’।
তবে লাইমলাইটে একাই থাকতে রাজি নয় শাহরুক। এই উপগ্রহ তৈরিতে যারা তার সঙ্গে ছিল সাফল্যের আনন্দটা সে ভাগ করে নিতে চায় তার সেই গোটা দলের সঙ্গেই।