ছবিটি নাসার ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
গ্রিনল্যান্ডের বরফের নীচে আছে আস্ত একটা প্যারিস! বা ওয়াশিংটন ডিসি!বা বলতে পারেন এর চেয়েও আয়তনে কিছুটা বড় একটা শহর!
সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ড নিয়ে এমনই এক বিস্ময়কর তথ্য তুলে ধরলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কী ভাবে এই তথ্য জানা গেল, সাধারণ মানুষের বোঝার জন্য খুব সহজ করে তার একটা ভিডিয়োও প্রকাশ করেছে নাসা।
তবে প্রকৃত অর্থে প্যারিস বা ওয়াশিংটন ডিসির মতো শহরের উপস্থিতি গ্রিনল্যান্ডের বরফের নীচে নেই। আসলে একটা বিরাটাকারের গর্ত খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। সেই গহ্বর কতটা বিশালাকার তা বোঝাতেই প্যারিস, ওয়াশিংটনের তুলনা টেনেছে নাসা।
আরও পড়ুন: কিলোগ্রাম বদলাচ্ছে, তবে ভয় পাবেন না
নাসা সূত্রের খবর, গর্তটি গভীরতা ১,০০০ ফুট, চওড়ায় ৩১ কিলোমিটার।আজ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ বছর আগে ৮০০ মিটার লম্বা কোনও উল্কাপিণ্ড পড়ার ফলেই গর্তটা হয়েছে, অনুমান গবেষকদের।
নাসার প্রকাশ করা ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: ‘এই আমাদের আলো, দেখতে পাচ্ছ?’ এ বার ভিনগ্রহীদের লেসার পাঠাবে মানুষ
২০১৫ সালে জুলাই মাসে ডেনমার্কের ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের একদল গবেষক প্রথম এই বিশালাকার গর্ত দেখতে পান।বরফের নীচে ডুবে থাকা গ্রিনল্যান্ড দেখতে কেমন? তারই একটা মানচিত্র বানাচ্ছিলেন গবেষকদের ওই দলটি।তখনই হিয়াওয়াথা গ্লেসিয়ারের নীচে এই বিরাট গর্তের সন্ধান পান। পরে নাসার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মিলিত ভাবে গবেষণা চালিয়ে এই গর্তটি খুঁজে পান তাঁরা। তিন বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর বুধবার জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্স-এ আবিষ্কারটি প্রকাশিত হয়েছে।