টিকার দ্বিতীয় পর্বের তিন মাস পর মানবশরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলি ডেল্টাকে রুখতে সফল হচ্ছে না। -ফাইল ছবি।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপকে রোখার ব্যাপারে কোভিশিল্ড কোভিড টিকা তেমন একটা কার্যকরী হচ্ছে না। টিকার দ্বিতীয় পর্বের তিন মাস পর মানবশরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলি ডেল্টাকে রুখতে সফল হচ্ছে না। অ্যান্টিবডিগুলির কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে ডেল্টা সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘দ্য ল্যানসেট’-এ। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণ রোখার ব্যাপারে দু'টি পর্বের কোভিশিল্ড টিকা কার্যকর হচ্ছে কি না বা কতটা হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনও আলোকপাত করা হয়নি এই গবেষণাপত্রে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকার ওষুধ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথ ভাবে বানিয়েছে কোভিশিল্ড টিকা। ভারতে এই টিকা বানিয়েছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতে যে দু'টি কোভিড টিকা সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় দেওয়া হয়েছে তার একটি কোভিশিল্ড। অন্যটি, কোভ্যাক্সিন।
এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে স্কটল্যান্ড ও ব্রাজিলে। গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন, ওই দু’টি দেশে কোভিশিল্ড কোভিড টিকা দু’টি পর্বে নেওয়ার পর ডেল্টার সংক্রমণ কতটা রুখতে পারছেন আক্রান্তরা। তাঁরা দেখেছেন, টিকার দ্বিতীয় পর্বের তিন মাস পরেই মানবশরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলির কার্যকারিতা উদ্বেগজনক ভাবে কমে যাচ্ছে।
তার ফলে, দু’টি পর্বে কোভিশিল্ড টিকা নেওয়া থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই ডেল্টার সংক্রমণ এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে যে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, এমনকি তাঁদের অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে ডেল্টার সংক্রমণে।
গবেষকরা তাই কোভিশিল্ডের দু’টি পর্বের পর আর একটি বুস্টার টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষণাপত্রে।