-ফাইল ছবি।
অবসরের বয়স ৬০ থেকে কমে ৫৮ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমাদের গ্রাস করে মৃত্যু-চিন্তা। ভাবতে শুরু করি, এই বুঝি যাওয়ার সময় এসে গেল! আর কাজে লাগব না বলেই কর্মক্ষেত্রে বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার বোধহয় সব কাজই ফুরনোর সময় হয়ে গেল!
না। এতটা হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। চাইলে আমি, আপনি কম করেও বাঁচতে পারি ১৩০ বছর। এমনকি তা টেনে নিয়ে যাওয়া যায় ১৫০ বছরেও।
কেই বা ‘মরিতে চায় এই সুন্দর ভূবনে’? তাই সকলের জন্যই এই সুখবরটি দিয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘রয়্যাল সোসাইটি ওপ্ন সায়েন্স জার্নাল’-এ। বুধবার। গবেষকরা এও দেখেছেন, মানুষের আয়ুর কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই, আক্ষরিক অর্থে। গবেষণাটি চালিয়েছেন লসনে সুইস ফেডেরাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ইপিএফএল)-এর বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা স্বীকার করেছেন, পরিবেশ দূষণের ফলে আগের চেয়ে মানবজীবনের ঝুঁকি বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু তার পরেও মানুষের আয়ুষ্কালের সত্যি সত্যিই তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। যদি আমরা জীবনকে মোটামুটি সঠিক ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি চল্লিশের কোঠায় পৌঁছনোর পর থেকেই।
গবেষকরা ১৩টি দেশের ১০৫ এবং ১১০ বছরেরও বেশি বয়সি এক হাজারেরও বেশি পুরুষ ও মহিলা-সহ বিভিন্ন বয়সিদের গত ৬০ বছরের আযুষ্কাল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন।
গবেষণাপত্রে দু’টি ঘটনার উল্লেখও করা হয়েছে। প্রথমটি- এখনও পর্যন্ত মানবেতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন যিনি বেঁচেছিলেন সেই ফরাসি মহিলা জেন কামেন্তঁ। ১৯৯৭ সালে যিনি প্রয়াত হয় ১২২ বছর বয়সে। দ্বিতীয় ঘটনাটির চরিত্র জাপানের কানে তানাকা। যিনি এখন ১১৮ বছর বয়সেও দিব্যি তরতাজাই রয়েছেন।