প্রতীকী ছবি।
১১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা সুবিশাল একটি হ্রদ উধাও হয়ে গিয়েছে অ্যান্টার্কটিকা থেকে। এক সপ্তাহ বা তারও কম সময়ে। সেই হ্রদে থাকা জলের পরিমাণ ছিল ৬০ থেকে ৭৫ কোটি ঘন মিটার। যা কাশ্মীরের ডাল হ্রদের অর্ধেকেরও বেশি। সেই হ্রদের জল গিয়ে মিশেছে অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরে।
উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়া সেই উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে একটি গবেষণাপত্র। যা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’-এ। গবেষকরা জানিয়েছেন, উষ্ণায়নের জন্যই এটা হয়েছে।
আরও পড়ুন
করোনার প্রতিষেধক কি প্রভাব ফেলছে ঋতুচক্রের উপরে? তবে কি টিকা নেবেন না
আরও পড়ুন
নিভৃতবাসে কাটছে দিন? নিজেকে যত্নে রাখবেন কোন উপায়ে
গবেষকরা জানিয়েছেন, সেই সুবিশাল হ্রদটি ছিল পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার অ্যামেরি আইস শেল্ফে। হ্রদটিতে এতটাই জল ছিল যে তার চাপে হ্রদের নীচে থাকা পুরু বরফের চাঙড় ফেটে গিয়েছে। আর তারই ফাঁক গলে গোটা হ্রদের জল বেরিয়ে গিয়ে অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরে মিশেছে। এই ধরনের ঘটনাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘হাইড্রোফ্র্যাকচার’।
মূল গবেষক গ্লেসিয়ার বিশেষজ্ঞ রোল্যান্ড ওয়ার্নার বলেছেন, “জলের চাপে বরফের চাঙড় ফেটে যাওয়ার ঘটনা আগে জানা ছিল। তার জন্য অনেক সময় লাগে। এত অল্প সময়ে নীচের ১৪০০ মিটার পুরু বরফের চাঙড় ফাটিয়ে গোটা হ্রদের জল বেরিয়ে গিয়ে মহাসাগরে মেশার ঘটনা এই প্রথম জানা গেল।"