ফেসবুক, টুইটার বা স্ন্যাপচ্যাট থেকে একটি জায়গায় আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ। চাইলেও হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ইচ্ছেমতো সাইন আউট করে বেরিয়ে যাওয়া যায় না। মোবাইল ডেটা অন করলেই আপনার কাছে আসতে শুরু করবে নোটিফিকেশনস। গুরুত্বপূর্ণ কাজে আপনার ডেটা অন করলে হোয়াটসঅ্যাপ বিরক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও রাস্তা নেই।
পাশাপাশি অনেক সময়, না চাইলেও আপনি অনলাইন আছেন কিনা, সে খবর পৌঁছে যায় হোয়াটসঅ্যাপে আপনার বন্ধু তালিকার সদস্যদের কাছে। না চাইলেও নোটিফিকেশন আর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা না থাকা অনেকেই পছন্দ করেন না।
হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংস-এ কিছু ব্যবস্থা থাকলেও তা সবটা নয়। ‘ব্লু টিক রিড রিসিপ্ট’ বন্ধ করে রাখলে আপনি মেসেজ পড়ছেন কিনা, তা জানতে পারবেন না আপনার বন্ধুরা। কিন্তু আপনি অনলাইন হলেই তা দেখতে পাবে সবাই। এ ক্ষেত্রেও ঘুরে ফিরে আসছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের প্রশ্ন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে মোবিওল বা নোরুটের মতো কিছু ফায়ারওয়াল অ্যাপ ব্যবহার করে কোনও একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায়। এ ক্ষেত্রে আপনার ইমেল অ্যাকাউন্টে ইন্টারনেট চালু থাকলেও হোয়াটসঅ্যাপ থাকবে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন। তবে এই ডাউনলোড করা অ্যাপগুলি আপনার ডেটা সুরক্ষার জন্য নিরাপদ নয়।
এরপর হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে আপনাকে বন্ধ করতে হবে মেসেজ এলেই ‘লাইট’ জ্বলার অপশন।
এরপর মোবাইলের হোমস্ক্রিন থেকে আপনাকে সরাতে হবে হোয়াটসঅ্যাপ আইকনটি। তা হলেই কাজ শেষ। আপনার ফোনে আসতে থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ, যদিও আপনাকে তা বিরক্ত করবে না। প্রয়োজন মতো অ্যাপ মেনুতে গিয়ে দেখে নিতে পারবেন আপনার হোয়াটসঅ্যাপে আসা মেসেজগুলি।
নোটিফেকেশন বন্ধ করে দিলে হোয়াটসঅ্যাপ না খোলা পর্যন্ত আপনি জানতে পারবেন না আদৌ কোনও মেসেজ আপনার ফোনে এসেছে কিনা। একই পদ্ধতিতে বন্ধ করতে হবে পপ আপ ও ভাইব্রেশনও।
আপনাকে তাই কাজ সারতে হবে তিনটি ধাপে। কোনও নিস্তব্ধ জায়গায় গিয়ে অডিও রেকর্ডারে দু’সেকেন্ড অডিও রেকর্ড করুন। তারপর এই রেকর্ডিংটিকেই হোয়াটসঅ্যাপের নোটিফিকেশন অডিও হিসেবে ব্যবহার করুন।