বংশগত ডায়াবেটিস ঠেকাতে শেষ লক্ষ্যকেও ছুঁয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা

বংশগত ডায়াবেটিস হয়তো এ বার একেবারেই সারিয়ে ফেলা যাবে। তার জন্য যেটা খোঁজা হচ্ছিল গত দু’-আড়াই দশক ধরে, শেষমেশ তার খোঁজ পেয়ে গেলেন গবেষকরা। ব্রিটেনে, সম্প্রতি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৪০
Share:

বংশগত ডায়াবেটিস (টাইপ ওয়ান) হয়তো এ বার একেবারেই সারিয়ে ফেলা যাবে।

Advertisement

জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমানিচির মতো ওই রোগ সারাতে এ বার চিকিৎসকরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পারবেন ‘পারফেক্ট টেন’ স্কোর করতে!

এমনটাই দাবি বিশ্বখ্যাত ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ এমিলি বার্নসের।

Advertisement

হলটা কী, যাতে এমন দাবি করা যাচ্ছে?


টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস রোখার উপায়।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, আমাদের রক্তে চিনির মাত্রাকে (সুগার লেভেল) স্বাভাবিক রাখতে জোর কায়দা-কসরৎ করে যে, সেই হরমোনের নাম ইনসুলিন। আমাদের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা রক্তের বিটা কোষগুলোকে নষ্ট করে দিলেই ইনসুলিন হরমোনের সৃষ্টি হয়। রক্তের বিটা কোষ যত বেশি করে নষ্ট হয়, তত বেশি পরিমাণে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হতে পারে। বংশগত ডায়াবেটিস রোখার জন্য আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েকটি ‘হাতিয়ার’কে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা চালায়, খুঁজে নেয়। সেগুলো কী কী, দশকের পর দশক ধরে সেটাই জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন গবেষকরা। প্রথম চারটি ‘হাতিয়ার’কে আগেই খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। ইনসুলিন, গ্লুটামেট ডিকার্বক্সিলেজ, আইএ-টু, জিঙ্ক ট্রান্সপোর্টার-এইট। এখন খোঁজ মিলল শেষ ‘হাতিয়ার’টির। যার নাম- টেট্রাস্প্যানিন-সেভেন। একটি রাসায়নিক। তাঁর কোন অস্ত্রটাকে কখন কোথায় ব্যবহার করবেন, তা যেমন ঠিক করেন সেনাপ্রধান, ঠিক তেমনই আমাদের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাও টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস (বংশগত) ঠেকাতে এই ‘হাতিয়ার’গুলোকে ব্যবহার করে। একেক সময়, একেক রকম ভাবে। টেট্রাস্প্যানিন-সেভেন রাসায়নিকটি আমাদের শরীরে আপনাআপনিই তৈরি হয়। আর ওই রাসায়নিকটি আমাদের শরীরে ইনসুলিন হরমোন তৈরি করতে আর তার সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা নেয়।

আরও পড়ুন- নিখরচায় নাসার ল্যাব দেখবেন? অনলাইনে টিকিট কাটুন সোমবার

বিশিষ্ট ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ মিশেল ক্রিস্টির নেতৃত্বে ব্রিটেনের লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষকদল এই রাসায়নিকটির সন্ধান পেয়েছেন গত দু’-আড়াই দশকের নিরলস গবেষণার পর। তাঁদের গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে ‘ডায়াবেটিস’ জার্নালে।

গবেষকদের বক্তব্য, আমাদের সাধারণত দু’ধরনের ডায়াবেটিস হয়। টাইপ-ওয়ান আর টাইপ-টু। টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস আসলে একটি বংশগত রোগ। আমাদের অগ্ন্যাশয় বা প্যাংক্রিয়াস ওই রোগে কিছুতেই ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। ফলে, ওই ধরনের ডায়াবেটিস রোখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন রোগীরা। যে কোনও বয়সেই এই ডায়াবেটিস হতে পারে। তবে হলে, তা ৪০ বছর বয়সে পৌঁছনোর আগেই হয়। বংশগত বলে শৈশব থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি। তবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই যে ডায়াবেটিস হয়, সেটা টাইপ-টু। যা হয় মূলত আমাদের খাদ্যাভ্যাসের দরুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement