স্পেস-এক্স সংস্থার কর্ণধার এলন মাস্ক। -ফাইল ছবি।
না, সময় পিছিয়ে যাবে না। বরং ২০২৪ সালের নির্ধারিত সময়সীমার আগেই হয়তো চাঁদের বুকে নামবে চার দশক পর ফের মহাকাশচারী নিয়ে নাসার চন্দ্রাভিযান ‘আর্টেমিস’-এর ল্যান্ডার। আমেরিকার ধনকুবের স্পেস-এক্স সংস্থার কর্ণধার এবং চিফ এগজিকিউিভ অফিসার এলন মাস্ক মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। ‘আর্টেমিস’ অভিযানে ল্যান্ডার বানানোর জন্য নাসার বরাত পেয়েছে মাস্কের স্পেস-এক্স।
মহাকাশচারী নিয়ে ফের চন্দ্রভিযানের জন্য গত এপ্রিলেই স্পেস-এক্সের ‘স্টারশিপ’ ল্যান্ডারটি বেছে নেয় নাসা। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের আপত্তিতে স্পেস-এক্সের সঙ্গে এখনও পাকাপাকি কোনও চুক্তি স্বাক্ষর করে উঠতে পারেনি নাসা।
প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ছিল ধনকুবের জেফ বেজোসের সংস্থা ‘ব্লু অরিজিন’-এর বানানো একটি ল্যান্ডার। ছিল ‘ডাইনেটিক্স’ নামে আরও একটি সংস্থার বানানো ল্যান্ডারও। তাদের আপত্তির কারণ, কেন তাদের বানানো ল্যান্ডারের পরিবর্তে নাসা স্পেস-এক্সের স্টারশিপ-কেই আর্টেমিস অভিযানের ল্যান্ডার হিসাবে বেছে নিল, নাসার তরফে তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি।
তাই ২০২৪ সালের নির্ধারিত সময়ে নাসা ফের মহাকাশচারী নিয়ে চাঁদে আর্টেমিস অভিযান করতে পারবে কি না তা নিয়ে গভীর সংশয় দেখা দেয় বিজ্ঞানীমহলে।
মঙ্গলবার তাঁর একটি টুইটে সেই সংশয় দূর করার চেষ্টা করেছেন স্পেস-এক্সের কর্ণধার। এলন টুইটে লিখেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্ভবত স্টারশিপ চাঁদের বুকে পা ছোঁয়াবে।’
ওই ল্যান্ডার বানানোর জন্য নাসার তরফে ইতিমধ্যেই ৩০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে বলেও স্পেস-এক্সের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।