-ফাইল ছবি।
পৃথিবীরও হৃদপিণ্ড রয়েছে! তারও হৃদস্পন্দন হয়। হয় ‘লাব-ডুব’ বা ধুকপুক, প্রাণীদের মতোই!
পৃথিবীর হৃদপিণ্ডের সেই লাব-ডুব হয় ২ কোটি ৭৫ লক্ষ বছর অন্তর। আর তখনই ঘটে মহাপ্রলয়। সাগর, মহাসাগর ফুঁসে ওঠে। সর্বত্র ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে আগ্নেয়গিরিগুলি। ভূপৃষ্ঠের নীচে সুবিশাল টেকটনিক প্লেটগুলির বড়সড় সরণ ঘটে। একে অন্যের পিঠে উঠে যায়। তাই অতি ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে উথালপাতাল হয় তখন গোটা পৃথিবী। যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘জিওলজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি’। ভূতাত্ত্বিক গঠনকাঠামোর আমূল রদবদল। তবে কেন নির্দিষ্ট সময়ের পর পর এই ভূতাত্ত্বিক গঠনকাঠামোর আমূল রদবদল ঘটে, তার কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাননি গবেষকরা।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্র এই খবর দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘জিওসায়েন্স ফ্রন্টিয়ার্স’–এ।
পৃথিবীর হৃদপিণ্ডের এই স্পন্দনের ছন্দেই ২৬ কোটি বছর আগে ডাইনোসররা এসেছিল। আবার বিলুপ্তও হয়েছিল। মহাসাগরগুলি তৈরি হয়েছিল, তাদের আকার ও মানচিত্র বদলেছিল। তৈরি হয়েছিল নতুন নতুন মহাদেশ। হয়েছিল গণহারে প্রাণের বিলুপ্তি (মাস এক্সটিঙ্কশন)।
পৃথিবীর ২৬ কোটি বছরের জীবনে এমন ৮৯টি ঘটনার তথ্যাদির ভিত্তিতে এই হিসাব দিয়েছেন গবেষকরা। জানিয়েছেন, এমন ঘটনা শেষ ঘটেছিল ৭৫ লক্ষ বছর আগে। ফলে, আগামী ২ কোটি বছরে এমন দিন ফেরার তেমন আশা নেই পৃথিবীর বুকে।