Science News

অত বিখ্যাত নন! আগে নোবেলজয়ীকে পাত্তাই দেয়নি উইকিপিডিয়া

এতদিন পর্যন্ত জেরার্ড মুরোর পেজে একটি জায়গায় স্ট্রিকল্যান্ডের নাম উল্লেখ করা ছিল মাত্র। গত মে মাসেই এক উইকিপিডিয়া ব্যবহারকারী তাঁর নামে আলাদা একটি পেজ খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, উনি ‘অত বিখ্যাত নন’। তাই খারিজ হয়ে গিয়েছিল সেই আবেদন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪৫
Share:

নোবেল পুরস্কার প্রাপক হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার পর সাংবাদিক বৈঠকে ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। ছবি: রয়টার্স

লেসার রশ্মির ‘আঙুল’ আবিষ্কার করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। অবশেষে স্বীকৃতি মিলেছে। সদ্যই ২০১৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রাপক তিন জনের মধ্যে নাম ঘোষণা হয়েছে ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডের। অথচ এই স্ট্রিকল্যান্ডকে মাত্র চার মাস আগেও একেবারেই গুরুত্ব দেয়নি উইকিপিডিয়া। আর নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর সেই সংস্থাই কার্যত প্রায়শ্চিত্ত করেছে। ‘রিয়েল টাইম’-এ তৈরি হয়ে গিয়েছে ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডের একটি আলাদা পেজ।

Advertisement

এই তথ্য সামনে আসার পরই নেট দুনিয়ায় উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে সমালোচনা ও ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের ঝড় উঠেছে। পুরুষদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মতো অভিযোগও হজম করতে হয়েছে অনলাইন তথ্যভাণ্ডার উইকিপিডিয়াকে। মহিলা বিজ্ঞানীরা কদর পান না বলেও সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।

কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর ফিজিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমি বিভাগের অধ্যাপিকা ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডের সঙ্গেই ২০১৮ সালের পদার্থবিদ্যায় নোবেল ভাগ করে নিয়েছেন আমেরিকার আর্থার অ্যাশকিন ও ফ্রান্সের জেরার্ড মুরো। লেসার রশ্মির ‘দুই আঙুল’ (টুইজার) আবিষ্কার করেছিলেন এই তিন জন। এ বছরই তার স্বীকৃতি দিয়েছে ‘দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’।

Advertisement

আরও পডু়ন: অর্ধশতাব্দী পর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল মহিলার, সঙ্গী আরও দুই

কিন্তু তার আগে? এতদিন পর্যন্ত জেরার্ড মুরোর পেজে একটি জায়গায় স্ট্রিকল্যান্ডের নাম উল্লেখ করা ছিল মাত্র। গত মে মাসেই এক উইকিপিডিয়া ব্যবহারকারী তাঁর নামে আলাদা একটি পেজ খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, উনি ‘অত বিখ্যাত নন’। তাই খারিজ হয়ে গিয়েছিল সেই আবেদন।

আরও পড়ুন: তনুশ্রী দত্তের ঘটনা কি আরও এক বার প্রমাণ করল বলিউড আসলে পুরুষেরই!

কিন্তু নোবেল প্রাপক হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে স্ট্রিকল্যান্ডের নামে একটি পেজ খুলে ফেলে উইকিপিডিয়া। তাতে তাঁর জন্ম থেকে এখনও পর্যন্ত সমস্ত কিছুই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও টুইটারে আক্রমণের ঝড় থামেনি। উইকিপিডিয়াকে কার্যত তুলোধোনা করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নেটিজেনরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement