China

China In Space: মহাকাশেও ‘টাইটানিক’! এক কিলোমিটার দীর্ঘ মহাকাশজাহাজ বানাচ্ছে চিন

চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে থাকা ব্যয়বরাদ্দের ভারপ্রাপ্ত সংস্থা ‘ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন অব চায়না’ এই প্রকল্পের অর্থমঞ্জুরের দায়িত্বে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৮
Share:

সেই মহাকাশ-জাহাজের নকশা। ছবি সৌজন্যে- 'ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন অব চায়না'।

এ বার মহাকাশেও ‘টাইটানিক’! মহাকাশযান নয়। বলা যেতেই পারে 'মহাকাশ-জাহাজ'!

Advertisement

সেই মহাকাশ-জাহাজ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে বিভিন্ন কক্ষপথে।

চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে থাকা ব্যয়বরাদ্দের ভারপ্রাপ্ত সংস্থা ‘ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন অব চায়না’ এই প্রকল্পের অর্থমঞ্জুরের দায়িত্বে।

Advertisement

তারা জানিয়েছে, মহাকাশযানটির দৈর্ঘ্য হবে ০.৬ মাইল বা এক কিলোমিটার। ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন অব চায়না-র তরফে এই প্রকল্পের প্রস্তাবটি তাদের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই এত বিশাল আকারের মহাকাশযান পাঠাতে পারেনি মহাকাশে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, “একে মহাকাশযান না বলে একটি মহাকাশ জাহাজ বলাই ভাল। বলা যেতে পারে, এ বার মহাকাশে পাড়ি জমাবে একটি টাইটানিক।”

কেন এত বিশাল আকারের মহাকাশযান পাঠাতে চাইছে চিন?

ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন অব চায়না-র ওয়েবসাইটে তার কারণও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, “মহাকাশে নানা ধরনের সম্পদের সন্ধান, উত্তোলন, ব্রহ্মাণ্ডের নানা রহস্যের জট খোলা ও দীর্ঘ দিন কক্ষপথে থাকার জন্যই এমন মহাকাশযান পাঠানোর প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে।” এও জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের কার্যকারিতা বোঝার জন্য পাঁচ বছর ধরে গবেষণা চালানো হবে। তার জন্য চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক ইতিমধ্যেই দেড় কোটি ইউয়ান (চিনা মুদ্রা) অর্থবরাদ্দ করেছে। আমেরিকার মুদ্রায় যা ২৩ লক্ষ ডলার।

প্রকল্পটিকে কল্পবিজ্ঞানের গল্প বলে মনে হলেও তার বাস্তবতা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না বলে জানিয়েছেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র প্রাক্তন চিফ টেকনোলজিস্ট ম্যাসন পেক। তিনি বর্তমানে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক।

পেক বলেছেন, “এমন মহাকাশযান অবাস্তব কিছু নয়। বানানো যেতেই পারে। এই ভাবেই ধাপে ধাপে একের পর এক অংশ জুড়ে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বানানো হয়েছিল। যা দৈর্ঘ্যে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের সমান। তবে মহাকাশ স্টেশন বানাতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছিল, এই বিশাল মহাকাশযান বানানোর জন্য তার ১০ গুণ বেশি খরচ হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement