মানব জিনে কারিকুরি বন্ধ

ভবিষ্যতে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগোবেন সবাই। যদিও শেষমেশ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মানুষের জিন নিয়ে কাটাছেঁড়া বন্ধ করতে বাধ্য হলেন চিনা বিজ্ঞানী হে চিয়ানকুই। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হংকং শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২৪
Share:

জিন এডিটিং করে সরানো হল রোগ, সারা জীবনেও আর এডস রোগ গ্রাস করবে না যমজ শিশুকন্যাদের, দাবি চিনের বিজ্ঞানীদের

দাবি করেছিলেন, নজির গড়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগোবেন সবাই। যদিও শেষমেশ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মানুষের জিন নিয়ে কাটাছেঁড়া বন্ধ করতে বাধ্য হলেন চিনা বিজ্ঞানী হে চিয়ানকুই।

Advertisement

গত সোমবার হংকংয়ে একটি বিজ্ঞান সম্মেলনে হে দাবি করেন, পৃথিবীর প্রথম জিন-এডিটেড শিশুর জন্ম দিয়েছেন তিনি। এক এইচআইভি পজিটিভ স্বামী ও এইচআইভি নেগেটিভ স্ত্রীর গর্ভস্থ ভ্রূণের ডিএনএ কৃত্রিম উপায়ে বদলে দিয়েছিলেন হে। এ মাসে তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ দুই যমজ কন্যার জন্ম দিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের বড় অংশের দাবি, কৃত্রিম উপায় বদলানো ওই জিন যখন পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত হবে, তখন তার রূপ কী হবে, কেউ জানে না। পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। মানুষের জিন নিয়ে এই ঝুঁকি বিজ্ঞানের নীতিবিরুদ্ধ। আট জন এইচআইভি পজিটিভ স্বামী ও এইচআইভি নেগেটিভ স্ত্রীকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন হে। এক দম্পতি শেষ মুহূর্তে সরে যান। আরও এক দম্পতি অন্তঃসত্ত্বা, জানিয়েছেন হে। তবে মেনেছেন, ‘কেমিক্যাল প্রেগন্যান্সি’ বা রাসায়নিকের সাহায্যে অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভপাতের আশঙ্কা অনেক বেশি। তবে হে-র সব চেয়ে বেশি আফসোস, এই পর্যায়ে এসে গবেষণার কথা ফাঁস করে ফেলায়। তিনি নিজেই ওই সম্মেলনে একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি করেন, ভিডিয়োয় দেখানো দুই যমজ শিশুকন্যার জিনে কৃত্রিম উপায়ে বদল ঘটানো হয়েছে। বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি কথা ভেবে পরীক্ষামূলক গবেষণা বন্ধ রেখেছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement