brain

Brain Pacemaker: মস্তিষ্কে পেসমেকার বসিয়ে প্রথম সারিয়ে তোলা হল গভীর মানসিক অবসাদে ভোগা রোগীকে

মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে প্রয়োজনে সক্রিয় করে তোলার জন্য বানানো ব্যাটারিচালিত এই পেসমেকারের নাম- ‘নিউরোপেস আরএনএস সিস্টেম’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৩৩
Share:

এই রোগীর উপরেই হয়েছে সেই সফল পরীক্ষা। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

হ্যাঁ, এক রোগীর গভীর মানসিক অবসাদ দূর করা হল, মস্তিষ্কে একটি বিশেষ ধরনের ‘পেসমেকার’ বসিয়ে। যা চলে বিদ্যুৎশক্তিতে। মস্তিষ্কের যে অংশটির কাজকর্ম অস্বাভাবিক হয়ে পড়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই রোগী, সেই অংশের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পেসমেকার থেকে পাঠানো বিদ্যুৎতরঙ্গই রোগীকে সারিয়ে তুলল। আর কোনও প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতেই যা সম্ভব হচ্ছিল না। গভীর মানসিক অবসাদগ্রস্ত ওই রোগী আত্মঘাতী হওয়ার সুযোগ খুঁজতেন সব সময়।

মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে প্রয়োজনে সক্রিয় করে তোলার জন্য বানানো ব্যাটারিচালিত এই পেসমেকারের নাম- ‘নিউরোপেস আরএনএস সিস্টেম’। কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে যন্ত্রটির ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)’। যা কোনও চিকিৎসাতেই সারানো যায় না সেই রকমের গভীর মানসিক অবসাদ থেকে কোনও রোগীকে পুরোপুরি মুক্ত করা যায় কি না তা পরখ করতে এই নিউরোপেস আরএনএস সিস্টেমকে এ বার ব্যবহার করেছিলেন সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী, গবেষক। তাঁদের পরীক্ষা পদ্ধতি ও সাফল্যের ভিত্তিতে লেখা গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার মেডিসিন’-এ। সোমবার।

ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটি যে শুধুই মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে প্রয়োজনে সক্রিয় করে তুলতে পারে, তা-ই নয়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ভিতরে বিদ্যুৎতরঙ্গের পরিমাণ আর তার কমা-বাড়ার উপরেও কড়া নজর রাখতে পারে যন্ত্রটি।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতি একটি অভিনব উদ্ভাবন। এর ফলে, গভীর ভাবে মানসিক অবসাদে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগা রোগীকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে। যা এত দিন কোনও চিকিৎসাতেই করা যেত না।

ডর্টস্‌মাউথের গাইসেল স্কুল অব মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পল হোলঝ্‌হেমার বলেছেন, ‘‘এটি সত্যি সত্যিই অভিনব পদ্ধতি। তবে মাত্র একজন রোগীর উপর পরীক্ষায় সাফল্য এসেছে। আরও বহু রোগীর উপর এই পদ্ধতিকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে তার বহুল ব্যবহারের জন্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement