আট থেকে আশি— প্রায় সকলের কাছেই সমান জনপ্রিয়তা এগ রোলের। ছবি: সংগৃহীত
অফিস থেকে খিদেয় চোঁ চোঁ পেট নিয়ে বেরিয়েছেন। কিন্তু কী খাবেন বুঝতে পারছেন না। খুব ভারী কোনও খাবার খেতে চাইছেন না। আবার শুধু ঝালমুড়ি খেলেও খিদে মিটবে না— এমন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে এগ রোল। আট থেকে আশি— প্রায় সকলের কাছেই সমান জনপ্রিয়তা এগ রোলের। শহরের আনাচ-কানাচে সব জায়গাতেই এগ রোলের দোকান দেখতে পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু কলকাতার মানুষ খাবারের বিষয়ে খুঁতখুঁতে। দেখতে এক রকম হলেও সব দোকানের এগ রোলের স্বাদ যে একই রকম হবে, তা তো নয়। সুস্বাদু এবং লোভনীয় এগ রোলের স্বাদ নিতে শহরের কোন রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারতে পারেন?
বেদুইন
বিয়ের মরসুম চলছে। গড়িয়াহাট চত্বরে থিকথিক করছে কেনাকাটার ভিড়। বিয়ের বাজার করতে করতে খুব খিদে পেয়ে গেলে কামড় বসাতে পারেন বেদুইনের এগ রোলে। স্বাদ এবং গন্ধে ভরে যাবে মন। প্রতিটি কামড়েই পাবেন সমস্ত উপকরণের ছোঁয়া। বিশেষ করে তেল কম খান যাঁরা, তাঁদের জন্য আদর্শ হতে পারে এই রোল। দামও সাধ্যের মধ্যে।
জিশান
কোনও কাজে পার্ক সার্কাসে গিয়েছেন। এ দিকে পেটের মধ্যে ডন মারছে ছুঁচোয়। খিদে চেপে না রেখে ঢুকে পড়ুন জিশানে। এগ রোল তো বটেই, এখানকার মটন রোল, চিকেন রোল এবং বটি রোলও জনপ্রিয়। রোলের জন্য বেশ লাইনও পড়ে।
এগ রোলের স্বাদ নিতে শহরের কোন রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত
আরসালান
শুধু বিরিয়ানি নয়, আরসালান কলকাতাবাসীকে দিয়েছে এগ রোলের স্বাদও। কলকাতায় আরসালানের প্রায় সব শাখাতেই পাওয়া যায় রোল। বিরিয়ানি ছাড়াও আরসালানের রোল খেতে পছন্দ করেন অনেকে। আরসালানের এগ রোল বাকিদের তুলনায় বেশ মুচমুচে হয়। নরম ভাবটা কম থাকে। শুধু এগ রোলের চেয়েও এদের এগ-চিকেন রোল বেশি জনপ্রিয়। পেঁয়াজ এবং মাংস দিয়ে একটা কবাব মতো বানানো হয়। সেটাই ব্যবহার করা হয় রোলে। ফলে আরসালানের কাবাবও চাখা হল।
কাঠি রোল
পার্ক স্ট্রিটের কাঠি রোলের সুখ্যাতি মুখে মুখে ঘোরে। রাস্তার উপর ছোট্ট দোকান। অথচ কর্মীদের দম ফেলার সময় নেই। ভিড় লেগেই রয়েছে। দুপুর থেকে এগ রোলের জন্য লাইন পড়ে যায়। এখানকার এগ রোল অনেকটাই বড়। খেয়ে শেষ করা যায় না। আর তেমনই স্বাদ। মুখে লেগে থাকবে। এগ থেকে এগ-চিকেন, মটন— সব রকম রোল পেয়ে যাবেন এখানে।
যাদবপুর ৪ নং গেট
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নং গেটের সামনে রয়েছে একটি ছোট্ট এগ রোলের দোকান। এই দোকানের রোলে ডিম ছাড়াও থাকে আলু। এই আলু দেওয়া এগ রোল খেতে ভিড় করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ। কোনও দিন ও দিকে গেলে আলু দেওয়া এগ রোল খেয়ে আসতে ভুলবেন না।