অনেকেই বাজারের দইয়ের চেয়ে ভরসা রাখেন ঘরে পাতা দইয়ের উপর। ছবি: সংগৃহীত
রোজের ডায়েটে দই রাখেন অনেকে। পুষ্টিবিদরা বলেন, শরীর ভাল রাখতে নিয়ম করে দই খাওয়ার মতো ভাল অভ্যাস আর হয় না। টক দই খাবার হজমের জন্য খুব উপযোগী। অনেকেই বাজারের দইয়ের চেয়ে ভরসা রাখেন ঘরে পাতা দইয়ের উপর। নিজের হাতে পাতা দইয়ের স্বাদই আলাদা। দই পাতার রকমারি কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সাজ ছাড়াও আর কী ভাবে বাড়িতেই পাততে পারেন টক দই।
কাঁচা লঙ্কা
ফুটিয়ে রাখা দুধ একটু গরম করে কাচের পাত্রে ঢেলে নিন। দুধের মধ্যে ডাঁটি-সহ কাঁচালঙ্কা ডুবিয়ে ঢাকা দিয়ে কোনও আর্দ্র জায়গায় রাখুন। ১০-১২ ঘণ্টা এই ভাবে এক জায়গায় ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। কাঁচালঙ্কার এই ডাঁটি দই জমতে সাহায্য করবে। এই দই থেকে সাজ নিয়ে পরের দিন দই পাততে পারবেন।
অনেকেই হয়তো জানেন না, শুকনো লঙ্কা দিয়ে পাততে পারেন দইও। ছবি: সংগৃহীত
লেবু
ফুটিয়ে রাখা দুধ হালকা গরম থাকতে থাকতে লেবুর রস মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ১০-১২ ঘণ্টা এই জায়গায় এক ভাবে দুধ ঢাকা দিয়ে রাখলে দই জমে যাবে। এ বার এটিকে অন্য সময়ে দই পাতার জন্য দম্বল হিসাবে ব্যবহার করতেও পারেন।
শুকনো লঙ্কা
কষা মাংস রাঁধতে শুকনো লঙ্কা অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, শুকনো লঙ্কা দিয়ে পাততে পারেন দইও। ধোঁয়া ওঠা গরম দুধে শুকনো লঙ্কাগুলি দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। তার পর ১২ ঘণ্টা মতো দুধের পাত্রটি আর্দ্র কোনও জায়গায় রেখে দিন। শুকনো লঙ্কার গুণেই জমে যাবে দই।