খোসা-সহ পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গা বেঁছে নিন। ছবি: সংগৃহীত
অনেক বাড়ির রান্নাতেই অতিরিক্ত পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। অনেকেরই আবার খাবার পাতে পেঁয়াজ না থাকলে ঠিক জমে না! বিভিন্ন কারণে অনেকেই বাড়িতে সব সময়ে পাঁচ, ছ’কিলো পেঁয়াজ মজুত রাখেন। তবে বেশ কিছু দিন পরেই সেই পেঁয়াজের ঝাঁঝ চলে যায় কিংবা পচন ধরতে শুরু করে। জেনে নিন পেঁয়াজ সংরক্ষণের সেরা উপায়।
শুকনো জায়াগায় রাখতে হবে
খোসা-সহ পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গা বেঁছে নিন। তবে অন্ধকার নয়, আলো-বাতাস চলাচল করে, এমন জায়গায় ছড়িয়ে রাখতে হবে পেঁয়াজ। বাজার থেকে কিনে আনার পর প্লাস্টিকের প্যাকেট থেকে বার করে খবরের কাগজ বা পাটের বস্তায় রেখে দিলে পেঁয়াজ দীর্ঘদিন ভাল থাকবে। এ ছাড়াও ঝুড়ি, বাঁশের পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারেন।
ফ্রিজে সংরক্ষণ
পেঁয়াজ ফ্রিজেও সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু ফ্রিজের অন্যান্য খাবারে গন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখতে চান না। অনেকের ফ্রিজেই আলাদা জায়গা থাকে পেঁয়াজ রাখার জন্য। সেখানে রাখতে পারেন। ভুলেও অন্য শাক-সব্জির সঙ্গে পেঁয়াজ রাখবেন না।
প্রতীকী ছবি
বেরেস্তা বানিয়ে রেখে দিন
পেঁয়াজের অনেকগুলি খোল থাকে। যদি মনে করেন পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে, তা হলে সবের আগে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে খারাপ অংশটুকু ফেলে বাকিটা কুচি করে কেটে নিন। এ বার ডুবো তেলে লাল করে ভেজে টিস্যু পেপারে তুলে রাখুন। তেল শুকিয়ে গেলে একটি পাত্রে ভরে ঠান্ডা করে নিন। ভেজে রাখা বেরেস্তা ফ্রিজে তুলে রাখুন। রান্নায় বেরেস্তা ব্যববার করলে স্বাদ অনেকখানি বেড়ে যায়।
পেঁয়াজে কালো দাগ দেখা দিলে কিংবা চারা বেরোতে শুরু করলে বুঝবেন পেঁয়াজে পচন ধরেছে। পেঁয়াজে হাত দিয়ে যদি দেখেন সেটি নরম হয়ে গিয়েছে, তা হলে তা ব্যবহার করবেন না। রান্নার স্বাদও খারাপ হবে আর শরীরের ক্ষতিও করবে।