ছবি: সংগৃহীত
গুপি-বাঘার মতো হাততালি দিয়ে খাবার আনা অসম্ভব হলেও যান্ত্রিকতার এই যুগে মোবাইল ফোনের টোকা মারলেই মুহর্তের মধ্যেই খাবার আনিয়ে নেওয়াটা সম্ভব তো বটেই। তবে এটা সম্ভব হয়েছে অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থাগুলির দৌলতে। তবে বাঙালির নতুন বছর শুরু হতে পারেহাল্কা মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায়। বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে বাড়তে চলেছে অনলাইনে কেনা খাবারের দাম।
এই বছরের আগষ্ট মাসে লখনউতে অনুষ্ঠিত হওয়া জিএসটি কাউন্সিলের ৪৫তম বৈঠকে অনলাইনে কেনা খাবারের দামের করনিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত রেঁস্তরাগুলির কাছ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হচ্ছিল। নতুন বছর থেকে রেঁস্তরার পরিবর্তে জিএসটি নেওয়া হবে অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থাগুলি থেকে। প্রতিটি অর্ডারে দিতে হবে জিএসটি।
ছবি: সংগৃহীত
এই রকম নিয়ম কার্যকর করার কারণ মূলত অনুনমোদিত রেঁস্তরা, যেগুলি অনুমোদন ছাড়াই এই সব অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থাগুলির মাধ্যম খাবারের অর্ডার নিয়ে থাকে, ফলে এসব ক্ষেত্রে জিএসটি সরাসরি সরকারের কাছে পৌঁছয় না। এর ফলে ইতিমধ্যেই বেশ বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে মনে করছে সরকার। আগেও এই অনলাইলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থাগুলি গ্রাহকদের থেকে জিএসটি নিয়েছিল, তবে তা সরকার অব্দি পৌঁছতো না। এ বার থেকে এই সংস্থাগুলি সরাসরি সরকারকেই জিএসটি দেবে।
তবে মনে করা হচ্ছে যে এই পাঁচ শতাংশ করের বোঝা অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থাগুলির চেয়ে গ্রাহকদের উপরই বেশি এসে পড়তে পারে।