গ্রীষ্মের এই আনাজ দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় নানা ধরনের পদ ফাইল চিত্র
শীতকালে নানা ধরনের সব্জি হয়। সে সব নিয়ে আহ্লাদও অঢেল। আর গরম এলেই বলা হয়, এই তো গোটা মরসুমটা কাটবে পটল আর ঢিঙে খেয়ে। কথাটা পুরো ভুল নয়। সত্যিই এই সময়ে বাজারে যে দিকে তাকানো যায়, পটল আর ঝিঙেতে ছেয়ে গিয়েছে। তাই বলে কি তাতে বৈচিত্র্য আনা যায় না? এমনটা মোটেও নয়। একই আনাজে নানা ধরনের রান্না হয় বিভিন্ন বাঙালি বাড়িতে।
এই গ্রীষ্মে ঝিঙে দিয়ে রান্না করে ফেলা যায় দু’ধরনের পদ। একেবারে আলাদা মেজাজের। রইল তার প্রণালী।
ঝিঙে আলুর ঝোল
অল্প হলুদের ব্যবহারে এই টলটলে ঝোল গরমের দিনে খেতে আরাম। আবার রান্নার জন্য সময়ও লাগে না বেশি।
উপকরণ
বড় ঝিঙে ৩টি
আলু ২টি
কাঁচা লঙ্কা ২টি
কালোজিরে ১/২ চামচ
ঝিঙের ঝোল ফাইল চিত্র
প্রণালী
আলু আর ঝিঙে ভাল ভাবে ধুইয়ে কেটে নিতে হবে লম্বা করে। তার পরে তা আবার এক পাত্র জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
এ বার কড়াইয়ে দু’চামচ সর্ষের তেল দিন। তা ভাল ভাবে গরম করে নিন। গরম তেলে কয়েক দানা কালো জিরে দিন। এর পরে কাঁচা লঙ্কা দু’টি অর্ধেক করে সেই তেলে ছেড়ে দিন। সামান্য হলুদ আর স্বাদ মতো নুন দিন। এ বার আগে লম্বা করে কাটা আলুর টুকরোগুলো তেলে দিয়ে অল্প ভেজে নিন। তার পরে কড়াইয়ে ঝিঙের টুকরোগুলো দিন। অল্প নাড়াচাড়া করে দ’কাপ জল দিয়ে দিন কড়াইয়ে। মিনিট দশেক হাল্কা আঁচে ঢেকে রাখুন কড়াইটি।
ঢাকা সরিয়ে দেখে নিন আলু আর ঝিঙে সেদ্ধ হয়েছে কি না। হয়ে গেলেই নামিয়ে নিন।
ঝিঙের ভর্তা
ওপার বাংলায় নানা সব্জি দিয়ে ভর্তা বানানোর চল রয়েছে। তেমনই একটি রান্নার কথা দেওয়া হল এখানে। স্বাদে চটপটে। অথচ তেল-মশলার ব্যবহার খুব বেশি নয়। ফলে গরমে আরামদায়ক এই খাবার।
উপকরণ
ঝিঙে ৪টি
শুকনো লঙ্কা ২টি
কাঁচা লঙ্কা ২টি
কালো জিরে ১/২ চামচ
রসুন বাটা ১ চামচ
ঝিঙের ভর্তা ফাইল চিত্র
প্রণালী
প্রথমে ঝিঙেগুলি ছোট ছোট করে কেটে ভাল ভাবে ধুইয়ে নিন। তার পরে তা বেটে নিতে হবে মিহি করে। তার সঙ্গে কাঁচা লঙ্কাও বেটে নিন।
এ বার একটি কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিন। ৩ চামচ হলেই যথেষ্ট। একটু গরম হয়ে গেলে তাতে কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা আর রসুন বাটা দিয়ে দিন। দু’মিনিট পরে তাতে হলুদ আর নুন দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি একটু ভাজা হয়ে গেলে তাতে ঝিঙে আর লঙ্কাবাটা দিন। এ বার ভাল ভাবে নাড়তে থাকুন। বেশি ভাজা হবে না এই রান্না। তবে তেলটা মিশ্রণের সঙ্গে ভাল ভাবে মিলে গেলে বুঝতে হবে ঝিঙে ভর্তা তৈরি।