স্বাস্থ্যকর ঠেকুয়া। ছবি : সংগৃহীত।
বাঙালি সাধারণত খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে কোনও বাছবিচার করে না। এ ব্যাপারে তারা কায়মনোবাক্যে ‘উৎসব যার যার, খাবার সবার’ আদর্শে বিশ্বাসী। তাই পড়শি রাজ্য বিহারের ‘বড় উৎসব’ ছটপুজো এলে বাঙালি মনও ‘ঠেকুয়া নাম’ জপে। অফিসে, পাড়ায়, চায়ের দোকানে বিহারের সহকর্মী, পড়শি, বন্ধুদের কাছে আবদারও করে রাখেন অনেকে। অথচ ঠেকুয়া বানানো অত্যন্ত সহজ। চাইলে নিজেই বানিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। এমনকি, চাইলে ময়দা, চিনি আর ডুবো তেলে না ভেজে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বানাতে পারেন ঠেকুয়ার স্বাস্থ্যকর সংস্করণ।
বিশেষ করে যাঁরা হার্টের রোগী বা যাঁরা প্রেশার, ডায়াবিটিস কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ময়দা, চিনি খাওয়ায় নানা বাধানিষেধ থাকে। ডুবো তেলে ভাজা খাবার তাঁদের কাছে এক রকমের ‘বিষ’। কিন্তু ছটপুজোয় তাঁদের ইচ্ছে হলে কি ঠেকুয়া খাবেন না? কী ভাবে ময়দা-তেল-চিনি এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর ঠেকুয়া বানাবেন?
ছবি: সংগৃহীত।
উপকরণ
১ কাপ ভাঙা ওট্স
১ কাপ লাল আটা
১ কাপ কুরনো নারকেল
১ কাপ কুচোনো খেজুর
২ টেবিল চামচ মৌরি
মিশ্রণের জন্য সামান্য ঘি
প্রণালী
প্রথমে শুকনো ওট্স মিক্সিতে গুঁড়িয়ে নিন। এ বার কুচোনো খেজুর সামান্য জল দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার লাল আটার সঙ্গে গুঁড়িয়ে নেওয়া ওট্স, নারকেল কোরা, খেজুরের মিশ্রণ, মৌরি, প্রয়োজন মতো ঘি এবং জল দিয়ে ভাল ভাবে মেখে নিন।
চাইলে এখানে খেজুরের সঙ্গে মিষ্টি স্বাদের জন্য পাকা কলাও মেশানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে খেজুর আর পাকা কলার পরিমাণ হবে আধা কাপ করে।
আটা এবং ওট্সের ওই মিশ্রণ লুচি বা রুটির জন্য মাখা আটার মতো নরম হবে না। বরং কিছুটা কঠিন হবে।
ওই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বলের আকারে কেটে নিয়ে হাতের তালু দিয়ে চেপে নিন। এ বার চারপাশে সামান্য ঘি লাগিয়ে এয়ার ফ্রায়ার বা বেকিং অভেনে বেক করে নিন।